• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে সালমা হত্যার রহস্য উদঘাটন ॥ ঘাতকের স্বীকারোক্তি

পরকীয়া প্রেমিকই হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখে

প্রকাশ:  ০৪ জুন ২০১৯, ২০:০১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জের আলোচিত গৃহবধূ সালমা হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সর্বশেষ আটক হওয়া দুইজনের একজন টিপু সুলতানই সালমার ঘাতক বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। আটক টিপু সুলতান গতকাল সোমবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রকিব জানান, হত্যার ঘটনার পর সালমার বাবা মহসিন বাদী হয়ে সালমার প্রবাসী স্বামী ও শাশুড়িসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে জড়িত সন্দেহে সালমার শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আটকের পর ৫ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এরপর তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়।
এদিকে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে গত শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার গল্লাক এলাকা থেকে শারাফত হোসেন ও গত রোববার বিকেলে ঘনিয়া এলাকা থেকে টিপু সুলতানকে আটক করে পুলিশ। আটক টিপু সুলতান সালমার চাচাতো দেবর। টিপু সুলতানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে হত্যাকা-ের মূল রহস্য উঠে আসে। গতকাল সোমবার সকালে চাঁদপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় সালমার হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে টিপু সুলতান। এ সূত্রে জানা গেছে, পরকীয়া প্রেমের সূত্রে টিপু সুলতানের সাথে বিরোধের জেরেই সালমাকে হত্যা করে লাশ ঘরের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।
জানা গেছে, সালমার সাথে তার চাচাতো দেবর টিপু সুলতানের মোবাইলে কথোকথনের এক পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরেই তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিরোধ থেকেই খুন হন সালমা।
উল্লেখ্য, উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ঘনিয়া গ্রাম থেকে গত ১৯ মে রোববার সালমার হাতের রগ কাটা অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছিলো পুলিশ। ওই ঘটনায় সালমার পিতা গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের হুগলি গ্রামের মহসিন বাদী হয়ে সালমার প্রবাসী স্বামী মাহফুজুর রহমান ও শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সালমার লাশ উদ্ধারের সময় তার শাশুড়ি আলিমুন্নেছাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং পরদিন ২০ মে বিজ্ঞ আদালতে পাঠালে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না-মঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। সালমার মৃত্যুর ঘটনার পর খাজুরিয়া বাজারে নৃশংস এ হত্যাকা-ে জড়িতদের দ্রুত আটক করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে মানববন্ধন করে তার পরিবারের লোকজন, আত্মীয়স্বজন, এলাকাবাসী, স্থানীয় খাজুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীসহ দুই সহ¯্রাধিক লোকজন।


 

 

সর্বাধিক পঠিত