• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আদালত কর্তৃক জাল দলিল প্রমাণ সত্ত্বেও

শিক্ষিকা ইশরাত জাহানের হয়রানি থেকে মুক্তি চান ছালেহ আহমেদ

প্রকাশ:  ১৭ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

আদালত কর্তৃক জাল দলিল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও চাঁদপুর আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ইশরাত জাহান গংয়ের একের পর এক হয়রানি মামলা থেকে প্রতিকার চেয়েছেন বিবাদী ছালেহ আহমেদ গং।
    মামলার বিবরণী ও অভিযোগে জানা যায়, চাঁদপুর মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার সিএস ৬৯২/৩, খতিয়ান, দাগ নং-২৪৬৯, এস.এ খতিয়ান নং ৮৯০, দাগ ৫৫৭৫, ৫৫৭৬, অন্দরে ১৭.৬৮ শতক একর ভূমি পেয়ারি কৃষ্ণ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর তার ৪ পুত্র চার আনা (৪.৪২) অংশ হারে মালিক ও ভোগদখলকার হয়। পুত্রদ্বয় যথাক্রমে : নগেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরী, শশাঙ্ক নাথ রায় চৌধুরী, সত্যেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরী, রাজেন্দ্র রায় চৌধুরী।
    নগেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরী বিগত ১২/০৮/১৯৭৮ সালে শ্রী হরিবিনোধ পাল, প্রমিলা রাণী পাল ও নারায়ণ চন্দ্র পালের নিকট দুটি দলিলে প্রাপ্ত ভূমি (৪.৪২) বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হয়। বর্তমানে গ্রহীতারা উক্ত ভূমিতে ভোগদখলে আছেন। এমনকি রাজেন্দ্র রায় চৌধুরী মৃত্যুবরণ করলে তার ৩ পুত্র অমলেন্দু, বিমেলেন্দু, নির্মলেন্দু মালিক ও দখলদার থেকে জনৈক মফিজুল ইসলামের নিকট ৪.০৫ শতক ভূমি বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হন। পরবর্তীতে মফিজুল ইসলামে নামে জমা খারিজ, বিএস, বিএস মাঠ জরিপ ও ডিপি খতিয়ান গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। পরে ২০১২ সালে মফিজুল ইসলাম উক্ত ৪.০৫ শতক ভূমি ছালেহ আহমেদ ও ফারহানা আহমেদের কাছে বিক্রি করে রেজিস্ট্রি করে দেয়। কিন্তু উক্ত সম্পত্তি আল-আমিন একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষিকা ইশরাত জাহান গং ১৯৮০ সালে ৪ শতক ভূমির নগেন্দ্র নাথ রায় চৌধুরীর হতে ক্রয় করেছেন বলে জাল-জালিয়াতি দলিল রেজিস্ট্রি করে মালিক দাবি করে ৯২/৯৮ মোকদ্দমা মূলে মামলা দায়ের করে। গত ২৯/৮/২০০১ সালে ফরিদগঞ্জ সহকারী সুলতান মাহমুদ দোতরফা মূলে মামলাটি ডিসমিস করে দেন।
    অতঃপর ইসরাত জাহান পরাজিত হয়ে পুনরায় ১৩৭/২০০১নং মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মোকদ্দমা দোতরফা সূত্রে ০৩/০৯/২০০১ তারিখে নি¤œ আদালতে ডিসমিস ডিক্রি বহাল রাখেন। এ রায়ের অসম্মতিতে ইসরাত জাহান হাইকোর্টে সিভিল রিভিশন করেন। হাইকোর্ট মামলাটি পুনঃবিবেচনার জন্যে নি¤œ আদালত (ফরিদগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে) প্রেরণ করেন। ফরিদগঞ্জ সহকারী জজ আদালত পুনরায় দোতরফা সূত্রে মোকদ্দমাটি খারিজ করে দিলেও ইসরাত জাহান ক্ষান্ত না হয়ে পুনরায় বিজ্ঞ জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালত, চাঁদপুরে ৪৭/২০১২ মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমা চলাবস্থায় আছে। ইসরাত জাহান গংয়ের জাল দলিল দ্বারা বাস্তবে খরিদ মূলে ছালেহ আহমেদ ও ফারহানা ফেরদৌসী মালিক দখলিকারগণদেরকে মিথ্যা মোকদ্দমা, হয়রানি, জেল জব্দ ও খরচান্ত করার জন্যে এসব মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।
    উল্লেখ্য, চাঁদপুর মডেল থানার মামলা নং-৩৯, তাং-৩১/০৫/২০০০ দীর্ঘদিন তদন্ত সাপেক্ষে রেজিস্ট্রি অফিসের দলিলের নকল বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত হয়, বিবাদী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পিতা মৃত রাজব আলী বেপারী, রেডিও অপটিকস-এর বিরুদ্ধে গত ২৯/১২/০৩ তারিখে চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি দমন ব্যুরো সহকারী পরিদর্শক গাজী মোঃ সামছুল আবেদীন চাঁদপুর চার্জশীট ২৫৮, ২৮/১২/২০০৩ তারিখে জাল দলিল নং-৫ ১৫, তাং-১৪/০১/১৯৮০ দলিল করেন। যা চাঁদপুরের স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ইসরাত জাহানের দুর্নীতি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিকার পাওয়ার প্রার্থনা করেছেন ভূমির মালিক ছালেহ আহমেদ ও ফারহানা ফেরদৌসী।