ফরিদগঞ্জে রাতের আধাঁরে শতবর্ষী বৃদ্ধার বসত ঘর পুড়িয়ে দিয়ে ভিটেমাটি দখলের পাঁয়তারা
ফরিদগঞ্জে রাতের আধাঁরে এক শতবর্ষী বৃদ্ধার ঝুপড়ি ঘর পুড়িছে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এই বৃদ্ধার মেয়ে মার পুড়ে যাওয়া ঘর মেরামত করতে বারবার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষের বাধার মুখে গত দেড় মাসেও তা পারছে না। দুর্বৃত্তরা বৃদ্ধার বসতঘর পুড়িয়ে দিয়ে সেই ভিটেমাটি দখলের পাঁয়তারা করছে।
জানা গেছে, উপজেলার ১১নং চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পূর্ব সন্তোষপুর গ্রামের চাঁন মিয়া বেপারী বাড়ির মৃত সামছুল হকের স্ত্রী শতবর্ষী হজের নেছা তার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে জাহানারা বেগম (৫০)সহ বসবাস করেন। হজের নেছার বর্তমান বয়স ১শ' ১ বছর। বয়সের ভারে চলাফেরা করতে কষ্ট হয় তার। তার দেখাশোনা করেন মেয়ে জাহানারা বেগম। ভূমিহীন এ পরিবারটি ১৯৯৪ সালে জাহানারার চাচাতো ভাই হানিফ মিয়ার কাছ থেকে সাড়ে সাত শতক জমি ক্রয় করে সেখানে একটি দোচালা টিনের ঘর করে তৈরি করে বসবাস শুরু করেন।
জাহানারা বেগম জানান, তার খরিদ করা জমির উপর একটি কুচক্রী মহলের নজর পড়ে। শেষ রক্ষা করার জন্যে চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতের শরণাপন্ন হন জাহানারা বেগম। কিন্তুপার্শ্ববর্তী বাড়ির এক চাচী সাহিদা বেগম তার লোকজন দিয়ে হয়রানি শুরু করে জাহানারা বেগমকে। পর্যায়ক্রমে জাহানারা বেগমের গোয়ালের গরু, রান্না ঘর, টয়লেটসহ সবকিছুই ভেঙ্গে নিয়ে যায়। এরপরও আদালতে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে জাহানারা বেগমকে হয়রানি করছে।
তিনি জানান, সর্বশেষ গত ৩০ ডিসেম্বর গভীর রাতে কে বা কারা তার বসতঘরে আগুন দিয়ে মা মেয়েসহ পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে ও তাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তার বৃদ্ধ মাকে ও তাকে উদ্ধার করে। পরে তিনি এ ব্যাপারে ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি করেন। এরই মধ্যে কিছু অর্থ জোগাড় করে জাহানারা বেগম টিন আর কাঠ বাঁশ দিয়ে পুনরায় ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাধা দেয় প্রতিপক্ষ সাহিদা বেগম।
এ ব্যাপারে ঘর নির্মাণে বাধাদানকারী সাহিদা বেগম জানান, এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তাই ঘর নির্মাণে আমরা বাধা প্রদান করছি।
এদিকে স্থানীয় লোকজনের দাবি, শতবর্ষী এই বৃদ্ধা ও তার মেয়ের জাহানারা বেগমকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে কৌশলে ঘর পুড়িয়ে দিয়ে এখন নতুন করে ঘর নির্মাণ করতে দিচ্ছে না ওই প্রভাবশালীরা। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।