• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মতলবে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, হত্যা না আত্মহত্যা?

প্রকাশ:  ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৩:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব উত্তরে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এটি কি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। তবে তার লেখা একটি চিরকুট ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। কী ছিলো সে চিরকুটে? সেটিই এখন জানার আগ্রহ জনগণের।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের শাহবাজকান্দি গ্রামের প্রকৌশলী কিয়াম উদ্দিন সরকারের ছোট ছেলে মুনতাসির কিবরিয়া সাগর (৩৮) তার স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন। রোববার সকালে তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। সোমবার রাতে তিনি তার জেঠার ঘরে খাবার খেয়ে নিজ ঘরে চলে যান। মঙ্গলবার সকালে তাকে তার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। তিনি অস্ট্রেলিয়া থেকে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেছেন। তারা ২ ভাই। বড় ভাই মইনুল কিবরিয়া শাওন সেনাবাহিনীর মেজর হিসেবে কুমিল্লা সেনানিবাসে কর্মরত। নিহত সাগরের হাতের লেখা চিরকুট পুলিশ উদ্ধার করেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আহসান হাবীব, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া প্রমুখ।
ওই বাড়ির বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য খসরুজ্জামান সরকার জানান, সাগর পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকেন। রোববার সকালে তিনি বাড়িতে এসেছেন। তার স্ত্রী ক্যান্সার আক্রান্ত। তিনি যেহেতু বাড়ি থাকেন না সে হিসেবে তার শত্রু থাকার কথা না।
নিহতের জেঠা নিজাম উদ্দিন সরকার জানান, সাগর সোমবার রাতে আমার ঘরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে থাকার কথা বলে চলে যায় তার ঘরে। মঙ্গলবার সকালে সাগর তার স্ত্রীর ফোন রিসিভ না করায় সে আমাদের কাছে ঢাকা থেকে ফোন করে। তখন আমরা তাদের ঘরের দরজা খুলে সাগরকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। কারণ লাশের হাত পা বাঁধা ও গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, এটি আত্মহত্যা নয় বলে প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে। তবে পোস্টমর্টেম করার পর বলা যাবে।
নিহতের বড় ভাই কুমিল্লা সেনানিবাসের মেজর মইনুল কিবরিয়া শাওন বলেন, আমি কোনো মন্তব্য করবো না। কাউকে সন্দেহ করি না। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাবে না।
নিহতের স্ত্রী ইভা আক্তার বলেন, সোমবার রাতে সাগর আমাকে বিকাশে ২ হাজার টাকা দিয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে দশটায় তার সাথে কথা হয়েছে। এরপর রাত ১টায় মোবাইলে কল করলে সে জানায়, এখন ঘুমিয়ে যাবো, সকালে কথা হবে। এটাই তার সাথে আমার সর্বশেষ কথা। এরপর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় অনেকগুলো কল করার পর ফোন রিসিভ না করায় চিন্তায় পড়ে যাই। পরে আমার জেঠা শ্বশুরের বাসায় ফোন করে লোকজন পাঠানোর পর জানতে পারলাম সাগরের ঝুলন্ত লাশের কথা।

সর্বাধিক পঠিত