রহিমানগর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড ॥ ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা


কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রহিমানগর উত্তর বাজারে গতকাল সোমবার বিকেলে এক ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকা-ে কাসেমুল উলুম এতিমখানা ও তৎসংলগ্ন ১টি আধাপাকা মসজিদসহ ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোন, কম্বল ও লাগেজ, টেলিভিশনের শো-রুম, ফ্লেক্সিলোড, বিকাশ, কম্পিউটার, কনফেকশনারি, লাইব্রেরি, মুদি, স্টেশনারী ও লেপ-তোষকের দোকান। অগ্নিকা-ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১০ কোটি টাকা হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে কচুয়া ও শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে আগুনে পুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। অগ্নিকা-ের সূত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে কাসেমুল উলুম এতিমখানার রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা ধারণা করছে। চাঁদপুর জেলা পরিষদের সদস্য সালাউদ্দিন ভূঁইয়া, গোহট উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাই মুন্সী, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহপরাণ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সফিকুর রহমান চৌধুরী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং ঘটনার সময় বাজারের দোকানপাট লুটতরাজের হাত থেকে রক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
অগ্নিকা-ের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেন কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ, কচুয়া-শাহরাস্তি সার্কেলের সিনিয়র এএসপি শেখ রাসেল, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান ভূঁইয়া, পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান কামাল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আশিকুর রহমান।