• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি শুরু ॥ প্রথম দিনে ভর্তি ৩৭

প্রকাশ:  ২৩ অক্টোবর ২০১৮, ০১:২৩
এএইচএম আহসান উল্লাহ ॥
প্রিন্ট

চাঁদপুর সরকারি মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ১ম বর্ষে (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল ২২ অক্টোবর সোমবার থেকে। ভর্তির শেষ দিন আগামীকাল ২৪ অক্টোবর। গতকাল প্রথমদিনেই ভর্তি হয়েছে ৩৭ জন। মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী কার্যালয় আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষ, পাশে কনফারেন্স রুম এবং হাসপাতালের প্রধান সহকারীর কক্ষে এ ভর্তি কার্যক্রম চলে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে ভর্তি কার্যক্রম।
    গতকাল বেলা সাড়ে ১২টায় হাসপাতালের তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, তত্ত্বাবধায়কের অফিস কক্ষসহ পাশাপাশি কয়েকটি কক্ষের সামনে ভর্তিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের ভিড়। তারা কক্ষগুলোর সামনে লাইন ধরে আছেন। কোনো কক্ষে সার্টিফিকেটসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে, কোনো রুমে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষার সনদ দেখা হচ্ছে, সর্বশেষ হাসপাতালের প্রধান সহকারীর কক্ষে ভর্তি ফি জমা দিয়ে ভর্তি হচ্ছে।
    এক ফাঁকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে এ প্রতিবেদক প্রবেশ করেন। সেখানে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আনোয়ারুল আজিম, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ জামাল সাহেল উদ্দিন ও হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ অলিউর রহমানকে পাওয়া যায়। তাঁরা ভর্তিচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেন এবং মৌখিক সৌজন্য সাক্ষাৎকার নেন। এ সময় কথা হয় তত্ত্বাবধায়ক এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের সাথে। তাঁরা জানালেন আজ (গতকাল) ৩৭ জন ভর্তি হয়ে গেছে। এর মধ্যে চাঁদপুর, ঢাকা, রংপুর, সাতক্ষীরা ও সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি জেলার শিক্ষার্থী রয়েছে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্যে আসন বরাদ্দ ৫০টি। পঞ্চাশ জনই ভর্তির জন্যে নির্বাচিত হয়ে গেছে। পঞ্চাশ জনের মধ্যে ২৭ জন ছাত্রী আর ২৩ জন ছাত্র। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জানান, শিক্ষার্থীদের আপাতত আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালের কোয়ার্টারে। কোয়ার্টারের ছয়টি ফ্ল্যাট তাদের জন্যে প্রস্তুত করা হচ্ছে। ছয়টির মধ্যে তিনটিতে ছাত্র ও তিনটিতে ছাত্রীরা থাকবে।
    তত্ত্বাবধায়ক ও অধ্যক্ষ আরো জানালেন, ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তির কাগজপত্রের সাথে মাইগ্রেশনের ফরমও পূরণ করে জমা দিচ্ছে। অর্থাৎ দূরবর্তী জেলার শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধামতো মেডিকেল কলেজের নামও লিখে দিচ্ছে, যাতে পরবর্তীতে ওই মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর হতে পারে। এ ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, একজন শিক্ষার্থী একাধিক মেডিকেল কলেজের নাম দিচ্ছে। আবার অন্য জেলার মেডিকেল কলেজে যারা ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদেরও কেউ কেউ মাইগ্রেশন ফরমে চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের নাম পরবর্তী চয়েজ হিসেবে লিখছে। তারপরও যদি দেখা যায় যে, চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের জন্যে নির্ধারিত পঞ্চাশ পূর্ণ হয়নি (মাইগ্রেশনের কারণে), তখন অপেক্ষমান তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী ভর্তি করে পঞ্চাশ জন পূর্ণ করা হবে।
    চাঁদপুরসহ সারাদেশে মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ১ম বর্ষের ক্লাস ১০ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে শুরু হবে। চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের শ্রেণী কার্যক্রম আপাতত কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার উত্তর অংশে (পেইং বেড ও কেবিন ব্লক) চলবে। অধ্যক্ষের কার্যালয় এবং অফিসও এখানে হবে। এখন এর প্রস্তুতি কাজ চলছে। কেবিন ব্লক অনেক আগ থেকেই বন্ধ, আর পেইং বেডে এখন আর রোগী ভর্তি করানো হচ্ছে না। গতকাল দুপুরে গিয়ে হাসপাতালের এ অংশে কলাপসিবল গেটে তালা লাগানো এবং উপরে অধ্যক্ষের কার্যালয় লিখা সাইনবোর্ড সাঁটানো দেখা গেছে।

 

সর্বাধিক পঠিত