২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়
নিহত আতিক উল্যাহর পরিবার রায়ে সন্তুষ্ট ॥ দ্রুত রায় কার্যকর করার দাবি
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার দ্রুত শেষ করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন নিহত আতিক উল্যাহর পরিবার। স্বামী আর পিতৃহত্যার বিচারের প্রতীক্ষায় ছিলেন আতিকের স্ত্রী ও চার সন্তান।
১৪ বছর আগে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট চালানো গ্রেনেড হামলা মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে। পুরাণ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন বুধবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনের মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছেন । এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদ- দেন।
রায়ের পর পরই সন্তুষ্টি প্রকাশ করে আতিকের স্ত্রী লাইলী বেগম দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, আমরা ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় ছিলাম, ন্যায় বিচার পেয়েছি। এখন অপেক্ষা দ্রুত রায় কার্যকরের। সরকারের কাছে রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। আতিকের বৃদ্ধা মা বলেন, উপার্জনক্ষম ছেলে হারিয়ে আমরা নিঃস্ব হয়েছিলাম। খুনিদের বিচার হয়েছে। বেঁচে থাকতে খুনিদের ফাঁসি দেখতে চাই। আতিক উল্যাহর বড় ছেলে মিথুন জানান, শিশু বয়সে বাবা হারানো যে কত কষ্টের যারা না হারিয়েছে তারা বুঝবে না। বাবা হত্যার বিচার পেয়েছি। এবার রায় কার্যকর দেখতে চাই। এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে এলাকার মানুষ।
মতলব উত্তর উপজেলার পাঁচআনী গ্রামের আতিক উল্যাহ সরকার (৪৬)। ৩ ছেলে আর এক মেয়েকে বড় অসহায় করে ফেলে গেছেন একমাত্র উপার্জনক্ষম আতিক। ৫ ভাই-বোনের মধ্যে আতিক ছিল বড়। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব নিয়েছিল আতিক। তিনি ঢালাই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন ঢাকার যাত্রাবাড়িতে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কাজ শেষে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে যান। ওই সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আতিক নিহত হন। আতিকের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে প্রথমে ১ লাখ ও পরে পর্যায়ক্রমে ১০ লাখ ও ২৫ লাখ টাকা পেয়েছে।