• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চান্দ্রা ও বাগাদীতে ১০ টাকা কেজির চাল বিক্রি শুরু

প্রকাশ:  ১০ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

‘ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও গরিব-অসহায়দের মাঝে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর-২০১৮ এই ৩ মাস হতদরিদ্রদের মাঝে এ চাল বিক্রি করা হচ্ছে। ৮ অক্টোবর সোমবার চাঁদপুরের বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিলারদের মাধ্যমে কার্ডধারী পরিবারের মাঝে অক্টোবর মাসের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
    এদিন সরজমিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ও চান্দ্রা ইউনিয়নে ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণ পর্যবেক্ষণ করা হয়। দেখা যায়, অনেক ডিলার তার ইউনিয়নে অক্টোবর মাসের চাল বিক্রি এখনো শুরু করেননি। যারা দিচ্ছেন তারা কার্ডধারী পরিবারকে ৩০ কেজির স্থলে ২/৩ কেজি এমনকি সুযোগ বুঝে তারচেয়েও বেশি পরিমাণে চাল কম দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে ডিলাররা জানান, খাদ্য গোডাউন থেকে চাল উত্তোলন ও বিক্রির ক্ষেত্রে পরিবহন এবং শ্রমিকসহ নানা খাতে টাকা খরচ হয়। কার্ডপ্রতি ৩০ কেজির পরিবর্তে দু-এক কেজি করে কম দেয়া হয়। তাদের দাবি, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ডিজিটাল স্কেলে ওজন দিয়ে প্রতি কার্ডধারীর পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
    সোমবার সকালে ৮নং বাগাদী ইউনিয়নে চাল বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল। একই সময় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ ইউনিয়নের ডিলার নূরে আলম রিপন জানান, সকাল থেকে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে ৩শ’ ৯৩জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিক্রি করা হয়। একই ইউনিয়নের অপর ডিলার মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, তার এলাকায় কার্ডধারীর সংখ্যা ৩শ’ ৮১ জন।
    ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ডিলার স্বপন বেপারী জানান, তার এলাকায় ৩শ’ ৯০টি পরিবারের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হয়। একই ইউনিয়নের অপর ডিলার ইব্রাহীম হোসেনের মাধ্যমে ৩শ’ ৯৩ জন কার্ডধারীর মাঝে চাল বিক্রি করা হয়। এ ইউনিয়নের ডিলাররা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতি কার্ডধারীর মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। তবে এই ইউনিয়নের অনেক কার্ডধারী জানান, ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির কথা থাকলেও কার্ডপ্রতি তাদের ২/৩ কেজি করে কম দেয়া হয়েছে।

 

সর্বাধিক পঠিত