• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

১০ বছর নিজের জমিতে থাকতে দিয়ে তাড়িয়ে দিলেন ভোটে হেরে

প্রকাশ:  ১১ জানুয়ারি ২০২২, ১১:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ বছর ধরে নিজের জায়গায় থাকতে দিয়ে ভূমিহীন এক নারীকে ভোটে হেরে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরাফুল ইসলাম আজিজি নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের রিপনমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে সদর থানায় অভিযোগ দিয়েছেন মুক্তারা বেগম নামে ওই নারী।

জানা গেছে, ১০ বছর আগে ওই নারীকে নিজের জায়গায় বাড়ি করতে দিয়েছিলেন আরাফুল ইসলাম আজিজি। কিন্তু স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তার ঘর ভাঙচুর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে গোবরাতলা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফুল ইসলাম আজিজি। ভোটে তিনি হেরে যান। বিএনপি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী রবিউল ইসলাম টিপু চশমা প্রতীকে লড়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

অভিযোগ উঠেছে, গত ৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মুক্তারা বেগমের ঘর ভাঙচুর করেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এরপর তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এমনকি আগুন ধরিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আরাফুল ইসলাম আজিজির ইচ্ছাতেই তার জমিতে ১০ বছর আগে বাড়ি নির্মাণ করেন মুক্তারা বেগম। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন তিনি। বাড়ির সঙ্গে রাস্তা সংলগ্ন ছোট্ট মুদিদোকান ও কয়েকটি ছাগল পালন করেই তার সংসার চলতো। বাড়ি ভাঙচুর করায় এখন আশ্রয় নিয়েছেন ছোট ভাই সাদিকুল ইসলামের বাড়িতে।

মুক্তারা বেগম বলেন, দোকান চালিয়ে ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে অভাবের সংসার চালাই। নিজের জায়গা নাই, তাই চেয়ারম্যানের দেওয়া জায়গায় খড় ও টিন তুলে থাকি, যা উপার্জন করি তা দিয়েই মেয়েকে নিয়ে খাই। কিন্তু এখন আমি কোথায় যাবো?

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নৌকার পক্ষে কাজ না করায় আমার বাড়ি ভাঙচুর করেছে চেয়ারম্যান প্রার্থীর লোকজন। বাড়ি ভাঙচুর করে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আরাফুল ইসলাম আজিজি বলেন, আমি ১০ বছর আগে তাকে বাড়ি নির্মাণ করতে দিয়েছিলাম। এখন আমি ওই জায়গায় অন্য কাজ করবো। এখানে নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোজাফফর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। উপ-পরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুল হককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।

সর্বাধিক পঠিত