• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জড়িয়ে ধরে দগ্ধ হন মা-মেয়ে, এক কবরে দাফন

প্রকাশ:  ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে মারা যাওয়া মা ও মেয়ের মরদেহ দাফন করা হয়েছে একই কবরে। তবে পরিচয় না পাওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবেই তাদের দাফন করা হয়।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বরগুনার পোটকাখালী গণকবরে অজ্ঞাতদের দাফন করা হয়। এ সময় ওই মা ও মেয়ের মরদেহও দাফনের জন্য আনা হয়। তাদের বহনকারী কফিনে লেখা ছিল নারী ও শিশুর মরদেহ। তারা জড়িয়ে ধরা অবস্থায় ছিল বলে জানা গেছে।

স্কাউটসের সদস্য সাইফ মাহমুদ বলেন, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে এমন নির্মম পরিস্থিতি আগে কখনো দেখিনি। এক কবরে মা ও মেয়েকে দাফন করতে হলো। জীবনে প্রথম এমন এক করুণ ও দুর্বিষহ পরিস্থিতির সাক্ষী হলাম।

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, একে অপরকে জড়িয়ে ধরা অবস্থায় মরদেহ দুটি পাওয়া যায়। আমরা ধারণা করেছি ওই কফিনে মা ও তার মেয়ের মরদেহ রাখা। যেহেতু তাদের পরিচয় শনাক্ত হয়নি তাই এক কবরেই দাফন করা হয়েছে।

ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকার সুগন্ধা নদীতে বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৪১ জনের প্রাণহানি হয়েছে। নিখোঁজ শতাধিক।

আগুনে দগ্ধ ৮১ জনের মধ্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৬ জন। ১৯ জনকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়। ১৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

এদিকে, পুড়ে যাওয়া লঞ্চটিতে কতজন যাত্রী ছিল তার সঠিক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিআইডব্লিউটিএ থেকে জানানো হয়েছে, লঞ্চটিতে প্রায় ৪০০ যাত্রী ছিল। তবে লঞ্চ থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের অনেকে বলছেন, এই লঞ্চে যাত্রী ছিল ৮০০ থেকে এক হাজার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমাদের হিসাব মতে লঞ্চে ৩৫০-এর মতো যাত্রী ছিল। এর বেশি থাকলে তদন্ত করে দেখা হবে।

আগুনে পোড়া লঞ্চ পরিদর্শনে গিয়ে শনিবার সকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য শাজাহান খান জাগো নিউজকে বলেন, ইঞ্জিনে বিস্ফোরণ থেকে লঞ্চে আগুন লেগেছে। এখনো লঞ্চের যে যাত্রীদের পাওয়া যায়নি, তাদের খুঁজতে কাজ করছে ডুবুরি দল। তাদের সঙ্গে নদীতে নৌকা নিয়ে নামেন নিখোঁজদের স্বজনরাও।

সর্বাধিক পঠিত