‘স্যার’ না ডাকা নিয়ে ‘আপত্তি’, সমাধান কোন পথে
‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ না ডাকলে প্রশাসনের, বিশেষ করে মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা মনোক্ষুণ্ন হন। সেবাগ্রহীতাদের কেউ ‘স্যার’ সম্বোধন না করায় কর্মকর্তাদের প্রতিক্রিয়ায় প্রায়ই প্রশাসনে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার কর্মকর্তাদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা দেওয়ার পক্ষেও নয় সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ বা ‘ম্যাডাম’ বলার কোনো বিধান নেই। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জনগণের সেবক।
তবে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আমলারা বলছেন, ‘স্যার’ বলার সংস্কৃতিটি ঔপনিবেশিক। প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তা এখনো সেই সংস্কৃতি থেকে বের হতে পারেননি। মানসিকতার পরিবর্তন না হলে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। কর্মকর্তাদের সেই চিন্তাধারা থেকে বের করতে সরকারের পদক্ষেপও নেই।
মানুষকে তো একটা সম্বোধন করতে হবে। স্যারও বলা যেতে পারে, তাই বলে প্রভু হয়ে যাননি উনি। তিনি জনগণের সেবক। কাউকে ভদ্রোচিতভাবে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে ‘স্যার’ বলা যেতে পারে। বাংলায় তো নানা ধরনের ভাষার শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে
সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবক, প্রভু নয়—চাকরিতে প্রবেশের সময় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে এ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে তা কর্মকর্তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়ে এবং প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের চিন্তাধারায় পরিবর্তন আনলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আমলারা। দুপক্ষের জন্য সম্মানজনক একটি সম্বোধন নির্ধারণ কিংবা আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নাম ধরে ডাকার সংস্কৃতি চালু করা যায় বলেও জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মানুষকে তো একটা সম্বোধন করতে হবে। স্যারও বলা যেতে পারে, তাই বলে প্রভু হয়ে যাননি উনি। তিনি জনগণের সেবক। কাউকে ভদ্রোচিতভাবে সম্বোধন করার ক্ষেত্রে ‘স্যার’ বলা যেতে পারে। বাংলায় তো নানা ধরনের ভাষার শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে।’
আমাদের তো একটা ক্লিয়ার মেসেজ গেছে। আমি বলে দিয়েছি স্যার বা ম্যাডাম বলার কোনো বিধান নেই। কোনো আইনে নেই যে তাকে এটা বলতে হবে। আমাদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হলে কেউ যদি বলে, রাগ করার তো কিছু নেই। আমার কাজটা হচ্ছে আপনাকে সার্ভিস দেওয়া
সম্বোধন নিয়ে তো মাঝে মাঝেই বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তো একটা ক্লিয়ার মেসেজ গেছে। আমি বলে দিয়েছি স্যার বা ম্যাডাম বলার কোনো বিধান নেই। কোনো আইনে নেই যে তাকে এটা বলতে হবে। আমাদের জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হবে। জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে হলে কেউ যদি বলে, রাগ করার তো কিছু নেই। আমার কাজটা হচ্ছে আপনাকে সার্ভিস দেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন অনেক কিছু পরিবর্তন হচ্ছে। এগুলোর ক্ষেত্রেও কিন্তু চিন্তা-ভাবনায় আমরা পরিবর্তন করতে পারছি। এখন প্রশাসনে অনেক ভালো ভালো শিক্ষার্থী আসছেন। অনেক সময় সরকারকে বিব্রত করার জন্যও কিছু কিছু ঘটনা ঘটে।’
এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের নাম ধরে ডাকে (নাগরিকরা)। আমাদের এখানেও এই কালচার শুরু করে সবাইকে নাম ধরে ডাকা উচিত। এটাই ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এ সমস্যার সমাধান হবে।’
স্থানীয় সরকার বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, “স্যার বলার কালচার (সংস্কৃতি) শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটা আমাদের ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য। এটার লালন শুধু প্রশাসনেই নয়, সমাজের সবখানে। মেডিকেল কলেজের অধ্যাপককে ‘ভাই’ বলেন, দেখেন তার কী চেহারা হয়।”
বিদেশে সরকারি কর্মকর্তা ও মন্ত্রীদের নাম ধরে ডাকে (নাগরিকরা)। আমাদের এখানেও এই কালচার শুরু করে সবাইকে নাম ধরে ডাকা উচিত। এটাই ইন্টারন্যাশনাল প্র্যাকটিস। এটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। তবেই এ সমস্যার সমাধান হবে
তিনি বলেন, ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী, তাদের যদি আমাদের কৃষক ভাই স্যার না ডাকেন তারা রাগান্বিত হন। কখনো কখনো ডিসি-ইউএনওকে স্যার না বলায় তারা এমন একটা আচরণ করেন যেটায় খবর (সংবাদ) হয়। আমাদের আসলে যেতে হবে এ বিষয়টার গভীরে, যেটা ঔপনিবেশিক কালচার থেকে এসেছে, যা আমরা খুব চমৎকারভাবে লালন করছি।
‘উল্টো করে বলা যায়, জনগণের পয়সায় যাদের বেতন-ভাতা হয়, সেই বেতন নিয়ে পরিবারের ভরণ-পোষণ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া হয়—সেই জনগণকে স্যার বলা দরকার। এ বিষয়টি আমাদের কালচারের মধ্যে প্রোথিত করতে হবে’—যোগ করেন সাবেক এই সিনিয়র সচিব।
তাদের (সরকারি কর্মকর্তা) যখন নতুন নিয়োগ হবে, ট্রেনিং হবে—তখন তাদের মধ্যে এ বিষয়ে চিন্তাটা ঢুকিয়ে দেওয়া। এছাড়া উপরের পর্যায়ের যে কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদের নিয়ে যেন কথা বলতে পারি এবং তাদের মধ্যে এটা প্রোথিত করতে পারি যে, ভাই এই দেশের মালিক তো জনগণ, স্যার বলার যে নিয়ম সেটা ছেড়ে দিতে হবে। জনগণের সেবা করার মনোবৃত্তি নিয়ে বরং তাদের স্যার বলা শুরু করো। তখন হয়তো এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। অন্যথায় এটা ঠিক হওয়ার কোনো উপায় নেই
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরেও আমাদের সংস্কৃতিতে এমন কিছু করিনি বা আমরা এমন কিছু ট্রেনিংয়ে আনিনি যার মাধ্যমে তারা (কর্মকর্তারা) ঔপনিবেশিক সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। এই সংস্কৃতি থেকে বের করে আনতে হলে সার্কুলার দিয়ে কোনো লাভ হবে না।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিবের দায়িত্বে থাকা শহীদ খান বলেন, ‘তাদের (সরকারি কর্মকর্তা) যখন নতুন নিয়োগ হবে, ট্রেনিং হবে—তখন তাদের মধ্যে এ বিষয়ে চিন্তাটা ঢুকিয়ে দেওয়া। এছাড়া উপরের পর্যায়ের যে কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদের নিয়ে যেন কথা বলতে পারি এবং তাদের মধ্যে এটা প্রোথিত করতে পারি যে, ভাই এই দেশের মালিক তো জনগণ, স্যার বলার যে নিয়ম সেটা ছেড়ে দিতে হবে। জনগণের সেবা করার মনোবৃত্তি নিয়ে বরং তাদের স্যার বলা শুরু করো। তখন হয়তো এ সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো। অন্যথায় এটা ঠিক হওয়ার কোনো উপায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, স্যার বলার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এই বলা দিয়ে কিছু হবে না। আমি যদি কোনো অফিসে যাই, আমাকে যদি তারা না চেনে, আমি যদি স্যার না বলি তারা আমাকে বের করে দেবে। আমি কিন্তু সরকারের একজন সচিব ছিলাম। যেখানে আমরা জনসেবার দায়িত্বে আছি, সেখানে আমরা প্রভুর মতো আচরণ করি। স্যার তো একটা অনুষঙ্গ মাত্র।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পদবি ধরে কর্মকর্তাদের সম্বোধন করা যায়। পদের আগে মাননীয় বা সম্মানিত বলা যেতে পারে। এতে সম্মানজনকভাবে এর সমাধান হতে পারে। এমন একটা পথ বের করতে হবে, যেন জনগণের সম্মান রক্ষা হয় এবং কর্মকর্তারাও যেন সন্তুষ্ট থাকেন। এমন একটা সম্বোধন আমাদের বের করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই প্রশাসনিক ব্যবস্থা ঔপনিবেশিক আমলে তৈরি হয়েছে। তাই এ মাইন্ডসেট থেকে আমাদের সরকারি কর্মকর্তারা বের হয়ে আসতে পারেননি।’
‘যখন কেউ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন, তখন তাদের যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেখানে আসলে এই জিনিসটি অ্যাড্রেস করা উচিত। স্বাধীন দেশে তাদের অবস্থানটা কী তা পরিষ্কারভাবে বোঝানো উচিত। তারা জনগণের সেবক, ঔপনিবেশিক আমলের মানসিকতা এখনকার জন্য উপযোগী নয়। এটা ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে তাদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। ফাউন্ডেশন ট্রেনিংসহ অন্যান্য ট্রেনিংয়ে এ জিনিসটা জোর দিতে হবে’—বলেন ড. আখতার।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দেশে সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও মানুষের ওপরে হতে পারেন না। এই বোধটা আমরা তাদের (সরকারি কর্মকর্তা) মধ্যে তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. মুসলেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ইউএন চার্টারে হিউম্যান রাইটস হিসেবে যা আছে আমরা সেটাকেই সংবিধানে নাম দিয়েছি মৌলিক অধিকার। সংবিধানে ২৬ অনুচ্ছেদ থেকে ৪৮ (এ) পর্যন্ত আছে মৌলিক অধিকার। সেখানে মাস্টার (প্রভু) বলে কিছু নেই। সেখানে সবাই সমান। সেখানে একপক্ষ সেবা দেবে; আরেক পক্ষ নাগরিক, যারা সেবা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘সম্বোধনের বিষয়ে রাষ্ট্র থেকে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, স্যার সম্বোধনের বাধ্যবাধকতা নেই। কর্মকর্তাদের বুঝতে হবে, আমি জনগণকে সার্ভিস ডেলিভারি দিচ্ছি। কাজ করতে গিয়ে আমি প্রভু হয়ে যাবো, সেটা নয়। আমাকে স্যার ডাকতে হবে, এমন কোনো কনসেপ্ট নেই।’
মোসলেহ উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, ‘মাইন্ডসেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা চাকরিতে প্রবেশের সময় ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে আইটেমটা ঢুকিয়ে দেওয়া যায় এবং এ বিষয়ে জোর দেওয়া যায়, সেটা কাজের হবে। তাদের (কর্মকর্তা) বুঝিয়ে দিতে হবে তারা সেবা প্রদানকারী। সেবা প্রদানের মধ্যে প্রভু ও চাকরের সম্পর্ক থাকে না। আপনি সার্ভিস প্রোভাইডার আর জনগণ সার্ভিস হোল্ডার।’
‘স্যার’ না ডাকায় যত বিপত্তি
গত ৪ অক্টোবর কুমিল্লার বুড়িচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাম্মৎ সাবিনা ইয়াছমিনকে ‘আপা’ বলে সম্বোধন করেছিলেন জামাল উদ্দিন (৪৫) নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী। এতে রেগে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে ‘মা’ ডাকতে বলেন সেই ইউএনও। ভুক্তভোগী জামাল উদ্দিন বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়।
গত ৩০ মে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ দাশও একই আচরণ করেন। এক সাংবাদিক ‘স্যার’ না ডেকে ভাই বলে সম্বোধন করায় আপত্তি তোলেন তিনি। ওই সময় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ বলেন, ‘আপনাদের ভাই ডাকার রেওয়াজ আর গেলো না। আপনি জানেন এই চেয়ারে বসতে আমাদের কত কষ্ট করতে হয়েছে?’
গত ৮ জুলাই মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুনা লায়লাকে ‘স্যার’ না বলে ‘আপা’ বলায় এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ ওঠে। দাবি করা হয়, ইউএনও’র নির্দেশে সিংগাইর থানা পুলিশ ওই ব্যক্তিকে পেটিয়ে জখম করে।
চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসককে ‘স্যার’ না ডেকে ‘দাদা’ বলে ডাকায় ব্রেন স্ট্রোকের রোগীকে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসার অভাবে রোগী মারা গেছেন বলেও দাবি করেন তার স্বজনরা।
২০২০ সালের ৭ অক্টোবর একটি সংবাদের তথ্য নেওয়ার সময় ‘স্যার’ না ডেকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করায় এক সাংবাদিকের ওপর ক্ষেপে যান সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের ইউএনও শফি উল্লাহ।
২০১৯ সালের ১৫ মে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে ‘ম্যাডাম’ না ডাকায় এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার-ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকারের বিরুদ্ধে এক মাছ ব্যবসায়ীকে লাথি মারার অভিযোগ ওঠে। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মাছ ড্রেনে ফেলে দেন এ সরকারি কর্মকর্তা।
২০১৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর যশোরের অভয়নগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুস সোবহানকে ‘স্যার’ বলে সম্বোধন না করায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি অফিস থেকে চার সাংবাদিককে বের করে দেন।
২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ‘ম্যাডাম’ না বলায় স্থানীয় এক সংবাদকর্মীর ওপর চটে যান পাবনার বেড়া ইউএনও ফারজানা খানম। উত্তেজিত হয়ে এ সময় ইউএনও সাংবাদিককে বলেন, ‘আপনি কতদিন ধরে সাংবাদিকতা করেন। আপনি জানেন না একজন ইউএনওকে স্যার বা ম্যাডাম বলতে হয়?’
২০১৮ সালের ৮ মার্চ ‘স্যার’সম্বোধন না করায় চট্টগ্রামের সংগঠক সাজ্জাত হোসেনের সঙ্গে তখনকার পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেলুল কাদের দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। সাজ্জাত হোসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ চট্টগ্রাম নগর কমিটির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী। সাজ্জাত পরে এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগও দেন।