রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: দুই মাস পর পাওয়া গেলো হাড়-কঙ্কাল
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকার হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রায় দুই মাস পর তল্লাশি চালিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া দুটি দেহাবশেষ (হাড় ও কঙ্কাল) উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে যাওয়া আর কোনো মরদেহ আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ভবনটি তল্লাশি করে ফায়ার সার্ভিস ও সিআইডি পুলিশ।
সিআইডির নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিন শ্রমিক এখনও নিখোঁজ জানিয়ে তাদের পরিবারের পক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করা হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় তল্লাশি শুরু করি। চতুর্থ তলায় কিছু হাড়ের অংশ পাওয়া গেছে। এগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম বলেন, দুটি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে বলে আমি শুনেছি। বিষয়টি সিআইডি তদন্ত করছে।
এর আগে গত ৮ জুলাই বিকেলে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তাৎক্ষণিকভাবে তিনজন মারা যান। পরদিন আগুন নিভিয়ে ফেলার পর ৪৮ জনের পোড়া মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এরই মধ্যে ৪৫ জনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করার পর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রূপগঞ্জ থানার ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেমসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ জুলাই মামলার তদন্তভার সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) কাছে হস্তান্তর করা হয়।