নোয়াখালীতে চাঁদপুরের মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে খুনের ঘটনায় ঘাতকসহ আটক ২

চাঁদপুর পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদীর মানসিক প্রতিবন্ধী নারী শাহানা আক্তার (১৮) নোয়াখালীতে খুনের ঘটনায় দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে সেখানকার পুলিশ। নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রাম থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় এই নারীর গলা কাটা মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই খুনিকে আটক করে হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে দুই খুনিকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো : বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগারি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬) ও একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মোঃ আব্দুল মালেকের ছেলে মোঃ রাসেল (২৪)।
নিহত শাহানা চাঁদপুরের পুরাণবাজার মধ্য শ্রীরামদীর বাসিন্দা বাবুর্চি শাহ আলমের মেয়ে।
এ ঘটনায় পুলিশ আটককৃতদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে আদালতের বিচারক তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নবীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শাহানার সঙ্গে মোবাইলে ইয়াছিন আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগে কয়েকবার শাহানা প্রেমিক ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করতে চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে আসে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সে নোয়াখালী আসে।
নোয়াখালীতে আসার পর ইয়াছিনকে বিয়ের জন্যে চাপ দেয় শাহানা। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্ন ইউনিয়নের খন্দকার স’মিলের পেছনে একটি তিনতলা পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়।
ওসি আরও জানান, পুলিশ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ক্লুলেস এ হত্যাকা-ের মাস্টারমাইন্ডসহ দু’জনকে আটক করা হয়। মরদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ।
এদিকে ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার সকালে নিহত শাহানার লাশ তার বাবা মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হলে ওইদিন বিকেলে চাঁদপুর পৌঁছে মধ্য শ্রীরামদী কবরস্থানে দাফন করা হয়।