• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর কোর্টস্টেশন-বকুলতলায় রেল লাইনের ২ পাশে উচ্ছেদ চায় সচেতন মহল

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ॥ লোক দেখানো অভিযানে অর্থের বিনিময়ে অনেক স্থাপনা রক্ষা পাওয়ার অভিযোগ

প্রকাশ:  ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের বড় স্টেশনে রেললাইনের ২ পাশে ২ দিনের অভিযানের প্রথম দিনে গতকাল শনিবার দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার লাকসাম কাচারির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত কানুনগো মোঃ আবু সাঈদ। এ অভিযানটি লোক দেখানো অভিযান বলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া উচ্ছেদ অভিযানকালে কানুনগো আবু সাঈদের সাথে সমঝোতার কারণে অনেক অবৈধ স্থাপনা তালিকায় থাকার পরও রক্ষা পেয়েছে বলে অনেকের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সচেতন মহলের মতে, কোর্ট স্টেশন ও বকুলতলা এলাকায় বিগত দিনে ট্রেনে কাটা পড়ে ২৬ জন ট্রেন যাত্রী তাদের প্রাণ হারিয়েছে। সে গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অবৈধ স্থাপনা অতি জরুরিভাবে উচ্ছেদ একান্ত প্রয়োজন। তারা মনে করেন প্রকৃত স্থানে অভিযান না করে সরকারের অর্থ ব্যয় করে যারা নিজেরা লাভবান হচ্ছে তাদের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখা একান্ত প্রয়োজন।
    জানা যায়, রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকতার নির্দেশ চাঁদপুর-লাকসাম রেললাইনের ২ পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য চট্টগ্রামে বিভাগীয় উচ্চ পর্যায়ে এক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে মোতাবেক শনি ও রোববার ২ দিন (২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর থেকে মৈশাদী পর্যন্ত রেললাইনের ২ পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছে সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য একটি প্রতিনিধি দল চাঁদপুরে আসে। তারা শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযান করার কথা থাকলেও দুপুরেই উচ্ছেদ অভিযান  শেষ করে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চাঁদপুর বড় স্টেশন  এলাকার রেললাইনের ২ পাশের ও স্টেশন ইয়ার্ডের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে কমপক্ষে দেড় শতাধিক বাণিজ্যিক ও আবাসিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার পক্ষে লাকসামের ট্রাফিক ইনিসপেক্টর (টিআই) মোঃ আবু তাহের ও কানুনগো মোঃ আবু সাঈদ। সহযোগিতায় ছিলেন এসএসএই/ওয়ে মোঃ লিয়াকত আলী মজুমদার, স্টেশন মাস্টার মোঃ জাফর আলম, সহকারী স্টেশন মাস্টার মোঃ শোহেব শিকদার, এসএই কার্য চাঁদপুর মোঃ আবুল কালাম আজাদ। আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সারোয়ার আলম, নিরাপত্তা ইন্সপেক্টর মোঃ আমিনুল ইসলাম, মোঃ খোরশেদ আলমসহ রেলওয়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্য ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
    উল্লেখ্য, বিগত দিনে রেল কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতায় স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতির মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছেন। তাতে ব্যাপক সাড়া পায় এ অভিযান। এদিকে গতকাল অভিযানের খবর শুনে যেসব অবৈধ স্থাপনা সরোনো শুরু হয় সে স্থাপনাগুলো বিকেলের পর থেকে আবার বসানো শুরু হয়েছে। কানুনগো জানান, যদি রোববার লাকসাম থেকে  ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মোঃ আবু তাহের চাঁদপুর আসেন তাহলে ২য় দিনের মত উচ্ছেদ অভিযান আজ হবে। তা না হলে আজ রোববার উচ্ছেদ অভিযান হবে না। পরবর্তীতে উচ্ছেদের জন্য সময় নির্ধারণ করা হবে।
    উল্লেখ্য, চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান শহরের বকুলতলা ও কোর্ট স্টেশন এলাকা। এখানে কোনো প্রকার উচ্ছেদ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ না করায় বৈধ ব্যবসায়ী ও সচেতন এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিয়টি কর্তৃপক্ষ দৃষ্টিগোচরে নিয়ে উচ্ছেদ করা একান্ত প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এখানে অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ি ঘর নির্মাণ করে লক্ষ-লক্ষ টাকা উপার্জন করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর লোকজন। তারা সরকারকে এক টাকাও রাজস্ব দিচ্ছে না। যে সরকার ক্ষমতায় আসে তারা তার ছত্র ছায়ায় থেকে নিজেরা লাভবান হচ্ছে।