• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ সংরক্ষণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ডাঃ দীপু মনি

প্রকাশ:  ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০৮:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার ও পুরাণবাজার এলাকার যে শহর রক্ষা বাঁধ রয়েছে এটি বর্তমান সরকারের সময় মেঘনার ভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর-হাইমচরকে রক্ষায় যে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে সে প্রকল্পের বাইরের অংশ। অর্থাৎ ডাঃ দীপু মনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে মেঘনার পাড় জুড়ে যে ১৮.৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ হয়েছে, এ প্রকল্পের মধ্যে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ পড়েনি। শহর রক্ষা বাঁধটি আরো অনেক আগেই করা। যার পরিমাণ পুরাবাজার অংশে ১ হাজার ৬শ’ ৩০ মিটার, আর নতুন বাজার অংশে ১ হাজার ৭শ’ ৩০ মিটার। বহু বছর আগে নির্মাণ হওয়া এই শহর রক্ষা বাঁধেই প্রতি বছর একেক জায়গায় ভাঙছে। বর্তমান সরকারের সময়ে ২০১০ সাল থেকে ধাপে ধাপে চাঁদপুর ও হাইমচরকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় যে দীর্ঘ ১৮.৬ কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে সে বাঁধে এখনো তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের একেক স্থানে প্রতি বছর কিছু কিছু অংশ ধসে যায়। বিশেষ করে পুরাণবাজার হরিসভা এলাকায় এবং নতুনবাজার বড় স্টেশন পাইলট হাউস এলাকায় প্রতি বর্ষায়ই ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ বাঁধকে স্থায়ীভাবে সংরক্ষণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি।
    এ বিষয়ে কথা হয় চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমান সরকারের সময় চাঁদপুর সদরের একাংশ তথা রঘুনাথপুর এলাকায় নূরু বকাউল বাড়ির পর থেকে দক্ষিণাংশে এবং হাইমচরে যে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হয়েছে, এ বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে প্রতি বছর যে বরাদ্দ আসে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বরাদ্দ শহর রক্ষা বাঁধের জন্যে প্রয়োজন। কারণ, মেঘনার পুরো পানির প্রবাহটাই এ শহর রক্ষা বাঁধ ঘেষেই যায়। যার কারণে পুরো বাঁধটাই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকে। কিন্তু সে তুলনায় এ বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা খুবই অপ্রতুল। এ জন্যে কোথাও হঠাৎ করে ভাঙ্গন দেখা দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া যায় না। তবে আশার কথা হচ্ছে, আমাদের এমপি মহোদয় চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধটিকে স্থায়ী বাঁধের প্রকল্পভুক্ত করে এর জন্যে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ অনুমোদন করাতে। এর জন্যে তিনি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
    এদিকে ভাঙ্গন কবলিত হরিসভা এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক বিমল চৌধুরী জানান, প্রায় ২০/২৫ বছর আগে এই শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হলেও তা রক্ষণাবেক্ষণে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকি এবং কার্যকর কোনো পদক্ষেপ ছিলো না। যখনই ভাঙ্গন দেখা দেয়, তখনই সেখানে তড়িঘড়ি করে কিছু জিও ব্যাগ বা সিসি ব্লক ফেলে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের প্রয়োজন ছিলো এই বাঁধটি কীভাবে স্থায়ীভাবে রক্ষা করা যায় সে পরিকল্পনা গ্রহণ করা। সেটি করতে তারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে আমরা মনে করি। এটি তাদের দায়িত্বের অবহেলা।
    গত রোববার দুপুরে সরজমিনে সে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদপুর চেম্বারের সহ-সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, পরিচালক গোপাল সাহা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক হাসান ইমাম বাদশা, সদস্য আইয়ুব আলী বেপারী, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক আঃ মালেক বেপারী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকেলে ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল। স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির নির্দেশে তাঁরা ভাঙ্গন পরিস্থিতি দেখতে এবং জরুরি ভিত্তিতে যে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে সে কাজ দেখতে এসেছেন।
    এদিকে গত রোববার ডাঃ দীপু মনি এমপি চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পেতে প্রধানমন্ত্রী, পানিসম্পদ মন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিডির সাথে কথা বলেছেন বলে তিনি চাঁদপুর কণ্ঠকে জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেয়ার আশ^াসও দিয়েছেন।

সর্বাধিক পঠিত