• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা

প্রকাশ:  ১১ অক্টোবর ২০১৭, ২০:২২
তপু আহম্মেদ, টাঙ্গাইল
প্রিন্ট

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ সিদ্দিকির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনাস্থা দিয়েছে আট ইউপি সদস্য। 

বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রানালয় এবং টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক বরাবর তদšত্ম পূর্বক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ইউপি সদস্যদের পত্মেগ মোঃ আলী জিন্নাহ।

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যদের স্বাত্মগরিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদ ট্যাক্স বাবদ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা আদায় করে ২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা স্থানীয় ভাদ্রা কৃষি ব্যাংক শাখায় তিনটি তারিখে জমা করেন। ইউপি সদস্যরা পরবর্তীতে ভাদ্রা কৃষি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকার কোন হিসেব নেই। বর্তমানে ব্যাংক একাউন্টে রয়েছে ১৩ হাজার ৪শ’ টাকা। তাদের অভিযোগ চেয়ারম্যান অবশিষ্ট ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৩৬০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

২০১৬-২০১৭ সালের অর্থবছরে এ.ডি.পির ৮ লাখ টাকার কাজ না করে ভূয়া প্রজেক্ট দিখিয়ে সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করারও অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়ছে, ইউনিয়ন পরিষদে ১৯৫ টি ভি.জি.ডি কার্ড বরাদ্ধ আছে কিন্তু চেয়ারম্যান ভি.জি.ডি কার্ড ধারিদের কাছ থেকে মাল বিতরণের সময় ৫০ টাকা করে মোট ৯ হাজার ৭৫০ টাকা অবৈধ ভাবে নেন। যা সম্পুর্ন অবৈধ। এছাড়া ১% হিসাবে ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ৪ লাখ টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে একই প্রজেক্ট দেখিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও অভিযোগকারি মোঃ আলী জিন্নাহ জানান, গত ২০১৬ সালের ১ জুন হতে দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা যাত্রা শুরু করি। যার জন্য এল.জি.এস.পি বরাদ্দ পাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে প্রতি মেম্বারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন চেয়ারম্যান। এমনকি সেই টাকাও তিনি আত্মসাৎ করেছেন। তার এমন কর্মকান্ডে আমরা এল.জি.এসপি থেকে প্রায়ই বঞ্চিত হচ্ছি।

মোঃ আলী জিন্নাহ আরো বলেন, সরকারি কোন উন্নয়ন মুলক কাজে আমাদের সাথে আলোচনা বা মিটিং না করে নানা অজুহাতে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে তিনি বিভিন্ন প্রজেক্টে তা ব্যবহার করেন। শুধু তাই নয় যুবদল, ছাত্রদল, জামাত শিবিরের নেতা কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে গভীর রাত পর্যন্ত চেয়ারম্যান আড্ডা দেন।

উন্নয়নমুলক কোন কাজে পরিষদের সদস্যদের সাথে পরামর্শ না করে বরং বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে মিটিং করেন। যা সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ সিদ্দিকি পূর্বপশ্চিমকে জানান, ইউনিয়ন পরিষদের এমন কিছু করার সুযোগ নেই। আমি সুনামের সহিত চেয়ারম্যান হয়েছি। ট্যাক্সের ব্যাপারে আমি ইউপি সদস্যদের তিন বার মিটিংয়ের জন্য আহ্বান করেছি। কিন্তু তারা আমার ডাকে সাড়া দেয়নি। মোঃ আলী জিন্নাহ গত ইউপি নির্বাচনকালীন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমুলক কল্পকাহিনি সাজিয়েছে। অন্যান্য ইউপি সদস্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বাক্ষর নিয়েছে। দূর্নীতির সব অভিযোগ বানোয়াটি। আমার কাছে সব রকম প্রমাণ আছে।

সর্বাধিক পঠিত