বন্যায় ভাঙা সড়ক দ্রুত মেরামতের দাবি ফুলবাড়ীবাসীর
সম্প্রতি বন্যায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউনিয়নের কবিরমামুদ গ্রামের ফুলবাড়ী-বালারহাট পাকা সড়কটি ভেঙে যায়। এখনও মেরামত না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাতায়াতকারীরা।
বন্যার পর প্রায় ২ মাস অতিবাহিত হলেও ৬০ ফুটের এই ভাঙা স্থানটি মেরামতে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেই। এতে ৩ ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ পড়েছেন বিপাকে।
ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ প্রাথমিক পর্যায়ে ভাঙা স্থানটিতে বাঁশের সাঁকো দিলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াতের ভারে সাঁকোটি মাঝেমধ্যে ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয় মইনুল হক তার উদ্যোগে সড়কের ভাঙা স্থানটিতে বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
যাতায়াতকারী শিমুলবাড়ী জকুরটল এলাকার ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল (৪২) বলেন, ব্যস্ততম সড়কটির ভাঙা স্থানটি দিয়ে চলাচলে আমাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের মতো লাখো মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি নজরে নিচ্ছেন না।
যাতায়াতকারী বালারহাট এলাকার জান্নাতী পুতুল বেগম (৩২) বলেন, সড়কটি মেরামত না হওয়ায় প্রায় ২ মাস ধরে ফুলবাড়ী উপজেলা সদরে আসতে আমাদের কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে সড়কটি মেরামত করার জোর দাবি জানান তিনি।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক আব্দুল মতিন (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও রিকশা চালক হুলি চন্দ্র মোহন্ত (৫৬) জানান, বন্যায় ভাঙা সড়কটি মেরামত না হওয়ায় এই সড়ক দিয়ে সরাসরি রিকশা চালাতে পারছেন না তারা। এতে করে তাদের উপার্জন কমেছে। তারা দ্রুত সময়ে সড়কটির ভাঙা স্থান মেরামতের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ পূর্বপশ্চিমকে জানান, ভাঙা সড়কটিতে যাতায়াতের জন্য আপাতত তিনি ব্যক্তিগত অর্থে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছেন। ভাঙা স্থানে মাটি ভরাটের জন্য স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠিয়েছে। তা অনুমোদন হলে সড়কটি মেরামতের কাজ হবে।