• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নানাকে হত্যা করে চাচিসহ পলায়ন, তরুণ গ্রেপ্তার!

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক
প্রিন্ট

চাচিকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় নানাকে হত্যার ঘটনায় তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোরে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা থেকে সবুজ শেখ (২৫) নামের ওই তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের শিকার মোয়াজ্জেম শেখের (৪৫) মেয়ে মারিয়া খাতুনকে (২০) উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার (এসপি) জিহাদুল কবীর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গত ৪ অক্টোবর পাবনার বেড়ায় মেয়েকে (মারিয়া) নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধা দেওয়ায় তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন সবুজ শেখ। এ ঘটনায় প্রতিবেশী হাসনা বেগমকে মারিয়া কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। নিহত মোয়াজ্জেম শেখের বাড়ি বেড়া উপজেলার দাসপাড়া গ্রামে। পুলিশ তাৎক্ষণিক সবুজের বাবা আসান শেখ, দুই চাচা আমোদ শেখ ও কোমর শেখকে আটক করে।

পুলিশ সুপার জানান, পাঁচ বছর আগে বেড়া উপজেলার দাসপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম শেখের বড় মেয়ে মারিয়া খাতুনের বিয়ে হয় একই গ্রামের শাজাহান শেখের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শাজাহান শেখ সৌদি আরবে শ্রমিকের কাজ করেন। স্বামী বিদেশে থাকায় মারিয়া বাবার বাড়িতেই চার বছরের মেয়েসহ থাকেন। এ সময় একই বাড়িতে থাকেন মারিয়ার বড় ভাসুর আসান শেখের ছেলে সবুজ শেখ। তিনি চাচির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে দুই পরিবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে ঝগড়া হতো। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য সালিসও হয়। গত ৪ অক্টোবর সকালে সবুজ তার চাচি মারিয়াকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় মারিয়ার বাবা মোয়াজ্জেম শেখ তাতে বাধা দেন। তখন উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সবুজ মোয়াজ্জেমের বুকে উপর্যুপরি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ সময় হাসনা বেগম মোয়াজ্জেমকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে মারিয়া তাকে কোপ দেন। এরপর সবার সামনেই মারিয়া ও সবুজ পালিয়ে যান।

এসপি জিহাদুল কবির বলেন, ঘটনার পর থেকেই পুলিশের বিশেষ দল মারিয়া ও সবুজকে গ্রেপ্তারে তৎপর হয়।

সংবাদ সম্মেলন চলার সময় মারিয়া সাংবাদিকদের জানান, তিনি স্বেচ্ছায় সবুজের সঙ্গে গেছেন। তার বাবা মোয়াজ্জেম শেখ তাদের প্রেমে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কারণে সবুজ তাকে কোপ মারে। সবুজ তাকে কখনোই জোর করে তুলে নিয়ে যায়নি। তিনি নিজেই সবুজকে নিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, মারিয়া পুলিশের কাছে দাবি করেন, তাদের যেখানেই রাখা হোক তাদের যেন একসঙ্গে রাখা হয়।

বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফ্ফর হোসেন জানান, সবুজ ও মারিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সর্বাধিক পঠিত