• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সোনাগাজীতে নিষেধাজ্ঞার আট দিনেও চাল পায়নি জেলেরা

প্রকাশ:  ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৪৩
ফেনী প্রতিনিধি
প্রিন্ট

ফেনীর উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে প্রায় দেড় হাজার জেলে ডাঙায় বসে অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা মাছ ধরতে পারছেন না। নিষেধাজ্ঞা শুরুর আট দিনেও প্রতিজনে বরাদ্দ ২০ কেজি চালের সামান্য পরিমানও তাদের ভাগ্যে জোটেনি।

সূত্রে জানা গেছে, জেলা মৎস্য অধিদফতরের উদ্যোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সোনাগাজীর বড় ফেনী নদীর উপকূল চর খোন্দকারে মা ইলিশ সংরক্ষণ উদ্বুদ্ধকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ইলিশের প্রজনন বাড়াতে ফেনীতে ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের ইলিশ ধরা, বিক্রি, মজুদ ও পরিবহন নিষেধ করেন জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায়। এ সময়ের মধ্যে জেলেদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হবে বলে জানানো হয়। উপজেলায় এক হাজার পাঁচশত জেলে রয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ২৬৮ জন জেলে তালিকাভুক্তির আওতায় এসেছে। বাদ পড়া জেলেদেরকে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা চলছে।

চর খোন্দকার জেলে সমিতির সভাপতি প্রিয় লাল জল দাস বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময়ে বিভিন্ন এনজিওগুলো জেলেদের কাছ থেকে যেন ঋণের কিস্তি না গ্রহণ করে সে ব্যাপারে স্থানীয় জেলেরা জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানালেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। ২২ দিনের অবরোধ সত্ত্বেও বিকল্প কোনো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়নি। জেলেরা আশায় ছিলেন চাল পাবেন। তবে নিষেধাজ্ঞা আট দিনেও গরিব মানুষের কাছে চাল পৌঁছায়নি। অনেক দিন মাছ ধরতে পারছি না তাই সংসারও চলছে না।

ফেনী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ব্যস্ততায় এখনো বরাদ্দ আসেনি।

ফেনী জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় বলেন, মৌসুম শুরুর দুই সপ্তাহ আগেই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর চিঠি লিখেছি। আশা করছি দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া যাবে।