দিনাজপুরে আগাম জাতের রোপা আমন পাকতে শুরু করেছে
সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যার পরবর্তী সময়ে দিনাজপুর চিরিরবন্দরে বিস্তীর্ণ সবুজ ধানক্ষেত ঘুড়ে দাড়িয়ে বর্তমানে হাইব্রিড ও আগাম জাতের রোপা আমন ধান ইতোমধ্যে পাকতে শুরু করেছে। আর ক’দিন পরেই ধান কাটতে শুরু করবে কৃষকেরা। অভাবের সময় ঘরে তোলা যায় এমন আগাম ও স্বল্পমেয়াদী ধানের জাতের চাষাবাদ চিরিরবন্দরে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠ এখন দেখে বোঝার উপায় নেই যে সম্প্রতি স্বরণ কালের ভয়াভহ বন্যায় ধানক্ষেত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিরিরবন্দরে এবার ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। আর এই ফলনের যাতে অনাকাঙ্খিত পোকা ও কোনো ধরনের রোগবালাই ক্ষতি করতে না পারে এজন্য নেয়া হয়েছে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নানা ধরনের উদ্যোগ। ব্লক পর্যায়ের সকল উপ-সহকারীদের সার্বক্ষণিক ব্লক পরিদর্শন। কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করাসহ পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন ধরনের উঠান বৈঠক, দলীয় আলোচনা, জনসচেতনতা মূলক সভা, লিফলেট বিতরণ, আলোকফাঁদ স্থাপন, ভিডিও প্রদর্শনী, অতন্ত্র জরিপসহ বিভিন্ন উদ্যোগ। এছাড়াও বাদামী গাছে ফড়িং কারেন্ট পোকাসহ অন্যান্য পোকা যাতে আক্রমণ করতে না পারে এজন্য নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
সাতনালা গ্রামের আর্দশ কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, স্বল্প মেয়াদী ও আগাম জাতের ধানচাষে প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে যেমন তীব্র অভাবের সময় ঘরে ফসল উঠে, তেমনি কৃষি শ্রমিকদেরও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। ধান কাটার পর ওই জমিতে আলুসহ পরবর্তীতে রবি শস্য আগাম চাষ করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বর্ন্যা পরবর্তী সময় কাটিয়ে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ খুবই ভাল হয়েছে। এ ধানের চাষাবাদ করে মঙ্গার সময়টিতে ধান ঘরে তুলে একই জমিতে রবি ফসলেরও চাষ করতে পারবে। এতে কৃষকরা ভালই লাভবান হবে এবং কার্তিকের মঙ্গা দূর হবে। ইতোমধ্যে ধানের শীষ বের হয়ে উপজেলার সর্বত্রই এ ধান পাকতে শুরু করেছে। আর ক’দিন পরেই ধান কাটতে শুরু করবে কৃষকেরা।