স্কুলছাত্রী নাহিদা হত্যা: মামলার মূল আসামি গ্রেপ্তার
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল পৌর এলাকার জননী ক্লিনিকে ভুয়া ডাক্তারের ভুল অস্ত্রোপাচারে মৃত্যুবরণকারী নাচোলের বাইপুর দরগা এলাকার নাসিরুদ্দিনের ৭ম শ্রেণির স্কুল পড়ুয়া মেয়ে নাহিদা আক্তার (১৩) হত্যা মামলার মূল আসামি নুরুল ইসলামকে (৪২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জননী ক্লিনিকের এমডি ও নাচোলের চৌপুকুরিয়া গ্রামের মৃত. নুহু আলমের ছেলে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) মাহবুব আলম শনিবার দুপুরে জানান, পেটে আ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে বলে জননী ক্লিনিকে গত ১৭ জুলাই নাহিদার পেটে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে ভুল অস্ত্রোপাচার করা হয়। ফলে দু’দিন পর ১৯ জুলাই নাহিদা রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এঘটনায় পরদিন ২০ জুলাই নাহিদার পিতা নাসিরুদ্দিন নাচোল থানায় ৪১৯, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় হত্যা মামলা করেন (নং-০৭)।
প্রসঙ্গত, নাহিদা হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ ঘটনার অন্যতম আরেক অভিযুক্ত ও ভুয়া ডাক্তার নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার আবু বক্করের ছেলে মাহফুজ রহমানকে (ডা. মাসুদ রানা নামে ভূয়া পরিচয়দানকারী) গ্রেপ্তার করে ২১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে পাঠায়। ২৫ জুলাই ভুয়া ডাক্তারের (মাহফুজের) রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
২৬ জুলাই দুপুরে নাচোল থানা হাজত থেকে নাহিদা হত্যা মামলার রিমান্ডের আসামী ভূয়া ডাক্তার মাহফুজের গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার হয়। পুলিশ দাবি করে মাহফুজ আত্মহত্যা করেছে।
অপরদিকে মাহফুজের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, টাকার দাবিতে পুলিশ মাহফুজকে রিমান্ডে এনে হত্যা করেছে। এই অভিযোগে মাহফুজের বড়ভাই শাহিনুর আলম ৬ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাচোল থানার ওসি, নাহিদা হত্যা মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৬ পুলিশ ও নাহিদার পিতাসহ এক আত্মীয়কে আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনে মামলা করেন।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার গ্রেপ্তার হলেন জননী ক্লিনিকের ম্যাট্রিক পাস মালিক ও চাঞ্চল্যকর নাহিদা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নুরুল ইসলাম।
এসএম