খুন হবার কয়েক ঘণ্টা আগেও সুদীপ্তের স্ট্যাটাস: ‘অপেক্ষায় রইলাম’
সুদীপ্ত বিশ্বাস। চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে গণিত বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাশ করেছেন। চট্টগ্রাম সিটি কলেজ কেন্দ্রীক ছাত্রলীগের রাজনীতি করতেন সুদীপ্ত। এরআগে ছাত্রলীগ নালাপাড়া ইউনিটেরও সভাপতি ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালের অক্টোবরে চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হলে পদবঞ্চিত হন। এসময় পদবঞ্চিত নেতারা বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এরমধ্যে সুদীপ্তও ছিলেন। পরে নগর কমিটির সহ সম্পাদক করা হলে নগর সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন সিটি কলেজের কমিটি ও ছাত্রসংসদের নির্বাচন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সরব ছিলেন তিনি। মৃত্যুর কয়েকঘণ্টা আগেও তিনি স্ট্যাটাস দেন, ‘অপেক্ষায় রইলাম’ লিখে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে পোস্ট দেন অভিনন্দন ছাত্র সংসদ। আজ ১৭ সেপ্টেম্বর ১ যুগ পূর্তিতে আর কি লাগে জীবনে!!! গত ২৮ সেপ্টেম্বরের পোস্টে লিখেন- কলেজের বারান্দায় হাটেনি এমন পাবলিকও আজকাল মিছিল পরবর্তী সমাবেশের মঞ্চে উঠে। নোংরামি আর কত?
বৃহস্প্রতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাত্রলীগ নেতা মিথুন বিশ্বাস। তিনি এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কার এমন কি ক্ষতি করেছে তাকে একেবারে মেরে ফেলতে হবে?
নগর ছাত্রলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সিটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে যুবলীগের দুই নেতার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়েছেন সুদীপ্ত। এনিয়ে অনেকে তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। তারাই তাকে খুন করতে পারে।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, সিটি কলেজে ছাত্রলীগের মধ্যে প্রকাশ্য কোনো বিরোধ নেই। অভ্যন্তরীণ বিরোধ থাকতে পারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ব্যক্তিগত হোক বা আভ্যন্তরীণ হোক খুনিদের শনাক্ত করে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।