• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

পরকীয়া জেরে শিশু নিহত, নিখোঁজ অপর শিশু

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২৬
সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম
প্রিন্ট

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ওমান প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া জেরে নদীতে নিখোঁজ থাকা দুই শিশুর মধ্যে এক শিশুকে নদী থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার চর খেয়ার চর জিঞ্জিরাম নদীর পাশ থেকে নিখোঁজ থাকা শিশু আয়শা সিদ্দিকা (৩) মৃত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

প্রত্যক্ষর্দশী জানান, এক পথচারি আজ সকালে জিঞ্জিরাম নদীর পাশ দিয়ে সায়েদাবাদ বাজারে যাওয়ার পথে হারুনের বাড়ির নিকঠ খোলা পুকুরে এক শিশু সন্তানের লাশ দেখা হয়। পরে মৃত লাশের কথা স্থানীয়দের জানালে দ্রুত এলাকার লোকজন ছুঁটে আসে।

যাদুর চর ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিল জানান, মৃত শিশুর লাশ ভেঁসে আছে এ রকম তথ্য পাওয়ার পর আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখি মৃত শিশুর লাশ কুচুরুপানার সঙ্গে ভেঁসে আছে। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও নিকঠস্থ থানায় মৃত শিশুর লাশের বিষয় মোবাইল ফোনে কল করে জানানো হয়।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম সহকারী পুলিশ সুপার (এ এসপি) সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে এক শিশু লাশ জিঞ্জিরাম নদীর পাশে এক খালে পাওয়া যায়। পরে মৃত শিশুর লাশ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়।  

উল্লেখ্য, উপজেরার কলাবাড়ী গ্রামের হাছেন আলীর পুত্র ফরহাদ হোসেন (১৯) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে শিরিনার পরকীয়া চলে আসছিল। গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ফরহাদ শিরিনার বাড়িতে গেলে ওই গ্রামের সামছুল, আশরাফ আলীসহ অজ্ঞাতনামা অনেকেই ফরহাদকে আটক করে মারধর করে।

শিরিনা আতঙ্কিত হয়ে তার ৭ মাসের কোলের শিশু রাকিবুল ও ৩ বছর বয়সের আয়শাকে নিয়ে বাড়ির পাশ্বের নদীতে জাপিয়ে পড়ে। নদীর প্রচণ্ড স্রোতে তার হাত থেকে সন্তান দু’টি ছুটে গেলে সে ভাসতে ভাসতে ১ কিলোমিটার দক্ষিণে কিনারে চাপে শিরিনা। কিন্তু দুই সন্তানের সন্ধান পায়নি।

পরে শিরিনা রাত ১২টায় দুবলা বাড়ি গ্রামের আব্দুর রহমান মাস্টারের বাড়িতে আসে। পরদিন মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শিরিনাকে রহমান মাস্টার যাদুর চর ইউপি চেয়াম্যান শরবেশ আলীর নিকট জমা দেয়। পরে চেয়ারম্যান শিরিনাকে রৌমারী থানায় সোপর্দ করেন।
এসএম