• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জন্ম নিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে ছাত্রীর বিয়ে

প্রকাশ:  ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১২:২০
নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রিন্ট

নওগাঁর মান্দায় চেয়ারম্যান ও সচিবের যোগসাজসে জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বৃদ্ধি করে কেয়া (১৭) নামে এক কলেজ ছাত্রীর বাল্যবিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের গোয়াল মান্দা গ্রামে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার নুরুল্যাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরমোহাম্মদ মন্ডল ও সচিব অভয় কুমার কবিরাজের যোগসাজসে জন্ম নিবন্ধন সনদে এসএসসি পাশের মূল নিবন্ধন সনদের বয়স ১৭ বছর থেকে বয়স বৃদ্ধি করে ১৮ বছর ১ মাস দেখিয়ে জন্ম সনদ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে গোয়াল মান্দা গ্রামের আবদুল কাইউম (কায়েমের) মেয়ে ও মান্দা থানা আর্দশ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোছা কেয়ার সাথে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চকশৈল্যা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ও সদ্য পুলিশে চাকুরী নেয়া রুবেল হকের বিয়ের দিন ধার্য ছিল আজ বুধবার।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি) ফয়সাল আহমেদ মান্দা থানার পরিদর্শক আনিছুর রহমানকে অবগত করান। পরে উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম সঙ্গীয় পুলিশ সদস্য নিয়ে বিবাহ কার্য চলাকালে সেখানে উপস্থিত হয়ে জানতে পারেন, তাদের আসার আগেই নুরুল্যাবাদ ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মকবুল আহমেদ কেয়া ও রুবেলের বিয়ের ইজাব-কবুল পড়িয়ে দেয়। এরপর খাওয়া দাওয়ার অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় টের পেয়ে বর, বরের পিতা, কন্যার পিতা মাতাসহ আত্নীয় স্বজনরা পুলিশ এলে প্রথমত থমকে যায়। পরে কাজী জন্ম সনদে ১৮ বছর ১ মাস বয়স দেখালে পুলিশ সেখান থেকে চলে আসেন।

এ ব্যাপারে উপপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান, জন্ম সনদে মেয়ের বয়স ১৮ বছর ১ মাস ছিল। তাই তার করার কিছুই ছিল না। স্কুল নিবন্ধনের কথা বললে তিনি বলেন, এখন তো জন্ম নিবন্ধন সনদই দেখা হয়।

জানতে চাইলে মান্দা থানার পরিদর্শক আনিছুর রহমান বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সর্বাধিক পঠিত