• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা

অপরাধী তিনজন হলেও আসামি একজন

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:৪৫
তপু আহম্মেদ, টাঙ্গাইল
প্রিন্ট

টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় তিনজন জড়িত থাকলেও মাত্র একজনকে আসামি করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে অভিযুক্তের স্ত্রী। বুধবার টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আসামি ও কারারুদ্ধ মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুর স্ত্রী মোছা. রুবিনা জানান, চলতি বছরের ১ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার শিকার হন টাঙ্গাইল সদর উপজেলার করটিয়া ইউনিয়নের ঢেলি করটিয়াস্থ সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এর বাসার ভাড়াটিয়া মানসিক প্রতিবন্ধী এবং মৃগি রোগে আক্রান্ত তরুণী আঁখি আক্তার (১৭)। সে মির্জাপুর উপজেলার কাটরা গ্রামের মো. লাল মিয়া ও আলো বেগমের মেয়ে।

ঘটনার পরপরই এলাকায় শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা। মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও ধর্ষিতা ঘটনার বিবরণ ও জড়িতদের নাম প্রকাশ করে। পরবর্তিতে ধর্ষিতার দেয়া ভাষ্যে মতে ঘটনায় জড়িত বাসার মালিক ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, বাসার ভাড়াটিয়া ও কারখানার মালিক সাহাবুদ্দিন ও কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুর নাম উল্লেখ করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় অভিযোগ করে মেয়েটির পরিবার।

১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে কারখানার মালিক সাহাবুদ্দিন ও কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুকে আটক করে টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ। তবে কারখানার মালিক সাহাবুদ্দিনকে ছেড়ে দিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের ও জেলহাজতে পাঠানো হয়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের শিকার আখি আক্তার (১৭) এর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করে আদালত। এ জবানবন্দিতে ধর্ষিতা তিনজনের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

এ প্রসঙ্গে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী মুকুল আক্তার বলেন, গত ২৪ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুম এর আদালতে ধর্ষণের শিকার আঁখি আক্তার (১৭) ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এসময় সে বাসার মালিক ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ও কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুর নাম উল্লেখ করাসহ আরো কয়েকজন জড়িত বলে উল্লেখ করেছে।

টাঙ্গাইল মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার জানান, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার মেয়েটি মামলার প্রথমে শুধু কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুর নাম উল্লেখ করায় একজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। তবে আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে ধর্ষিতা বাসার মালিক ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমান ও কারখানার দর্জি মো. হামিদ মিয়া ওরফে হামদুর নাম উল্লেখ করে।

এ ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক না কেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জবানবন্দির ভিত্তিতে বাসার মালিক ও সাবেক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুর রহমানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তিনি পলাতক রয়েছেন।

এসএম

সর্বাধিক পঠিত