• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

খাম্বা স্থাপনে লাখ টাকার ঘুষ বাণিজ্য

প্রকাশ:  ০৪ অক্টোবর ২০১৭, ১১:৫২
ঝালকাঠি সংবাদদাতা
প্রিন্ট

ঝালকাঠির কাঠালিয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নের ৩৫টি এলাকায় ওজোপাডিকো লিমিটেডের বিদ্যুৎ সম্প্রসারণ নতুন লাইনের ৭৫০টি খাম্বা (পুল) স্থাপনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফারুক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ন-দুর্নীতি ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এর প্রতিকার চেয়ে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (খুলনা) সহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

মো. হানিফ সিকদার ও নুরুজ্জামান ডাকুয়াসহ এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগে জানাযায়, কাঠালিয়া উপজেলার হেতালবুনিয়া, মশাবুনিয়া, বিনাপানি, বলতলা, লতাবুনিয়া, কচুয়া, কৈখালী, আউরা, চিংড়াখালী, আমুয়া, ছোনাউটা ও জোড়খালীসহ প্রায় ৩৫টি গ্রামে ৭৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৪২৯ টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতের নতুন লাইনের ৭৫০টি খাম্মা (পুল) স্থাপনের কাজ পায় খুলনার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফারুক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন। 

বরিশাল ওজোপাডিকোর এসপিডিএসপি প্রকল্পের আওতায় এ কাজ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজটি নিজে না করে কার্যাদেশ উপেক্ষা ও নিয়ম বর্হিভূতভাবে সাব-ঠিকাদার ময়েজ, কালো জসিম, সুন্দর জসিম, আনোয়ার ও রফিক নামের চারজন কাজটি করছেন। সাব-ঠিকাদারগণ কাঠালিয়া বিদ্যুৎ বিভাগের (ওজোপাডিকোর) আবাসিক প্রকৌশলী ও উপ প্রকৌশলীর যোগসাজসে ও লেভার সর্দার (মিস্ত্রী) জাকির হোসেনের  সহায়তায় প্রতি খাম্মায় (পুল) ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে বরাদ্দ না পাওয়া (ড্রইং ছাড়া) স্থানে পুল বসিয়ে ও মিটার সংযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ঠিকাদারের দাবিকৃত টাকা পরিশোধ না করায় প্রকৃত গ্রাহকদের নামে ও বরাদ্দকৃত লাইনের খাম্বা অন্যত্র  বসানো হচ্ছে।
 
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফারুক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ফারুক আহম্মেদ মীরবহর, কাঠালিয়া আবাসিক প্রকৌশলী কাজী মনিরুজ্জামান ও উপ-প্রকৌশলীর দুর্নীতি তদন্তে বরিশাল ওজোপাডিকোর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এটি এম তারিকুল ইসলামকে আহবায়ক ও আঞ্চলিক হিসাব দফতরের ব্যবস্থাপক(হিসাব) মো. মোকলেছুর রহমানকে সদস্য করে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ কার্যদিকসের মধ্যে প্রধান প্রকৌশলী  ওএন্ড এম,এসএন্ড ডি সদর দফতর খুলনাকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস ফারুক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের স্বত্ত্বাধিকারী ফারুক আহম্মেদ মীরবহর অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্বপশ্চিমকে বলেন, খাম্বা স্থাপনে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি জানেন না।

সর্বাধিক পঠিত