• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

এআই নীতিমালা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে: আইসিটি সচিব

প্রকাশ:  ২৩ জুলাই ২০২৫, ২১:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নীতিমালা প্রণয়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।

বুধবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত 'টেলিকম অ্যান্ড ইনোভেশন ফেয়ার ২০২৫'-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমনটা জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিটিআরসি স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহবুব আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিটিআরসির কর্মকর্তা ও টেলিকমিউনিকেশন এবং ডিজিটাল খাতের উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন

আইসিটি সচিব বলেন, আমরা এআই পলিসি নিয়ে কাজ শুরু করেছি, ইনফেক্ট আজকে শুরু হয়েছে এটা। আমরা সাইবার সিকিউরিটি অর্ডিন্যান্স করেছি। অন্তর্বর্তী সরকার উদ্যোক্তাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের মধ্যে আছি। আমরা এখন ব্যক্তিগত তথ্য-উপাত্ত সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছি। ডিজিটাল খাতে সরকার বিভিন্ন প্রজেক্ট করবে, ফাইন্যান্স করবে- এটাকে কমার্শিয়ালাইজ করবে ইন্ডাস্ট্রি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব (রুটিন দায়িত্ব) জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনের যে সমাজ সেখানে আমাদের কাজ করতে হবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে। তরুণরা পরিবেশের উপর টেলিকম ইন্সটলেশনগুলোর ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনতে দারুণ আইডিয়া নিয়ে এসেছে। এগুলোকে আরও কীভাবে গ্রিন করা যায় তা নিয়ে ভাবছে। প্রতি বছর গ্র্যাজুয়েটদের একটি বড় অংশ আনএমপ্লয়েড থেকে যায়, এদের মধ্যে যদি উদ্যোক্তা মনোভাব তৈরি করতে পারি তাহলে একটি স্থিতিশীল সমাজ তৈরি করতে পারব।

বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদুল বারী বলেন, আমাদের টেলিকম সেক্টরে গত দুই দশকে যে ডেভলপমেন্ট হয়েছে সেটা হয়েছে কানেক্টিভিটির জন্য। ইন্টারনেট পেনিট্রেশন ১৩ কোটির মতো হলেও হেড কাউন্টে সেটা ৭ থেকে ৮ কোটির মতো, যা ৪৫ শতাংশ হবে। তথ্য বিপ্লবের দুটি বড় উপাদান হলো কানেক্টিভিটি এবং অপরটি ডেটা। প্রথম যখন ইন্টারনেট এলো তখন ব্যবসা বলতে কানেক্টিভিটি বুঝাত, বর্তমানে ডিজিটাল ব্যবসা হচ্ছে ডেটা, আগের মতো ভয়েস বলতে আমরা টিপিক্যাল ভয়েস বুঝি না, হোয়াটসঅ্যাপের ভয়েসও একটা ডেটা।

তিনি বলেন, বিজ্ঞান যখন কোনো কিছু আবিষ্কার করে সেটাকে ছড়িয়ে দেয় বিজনেস ও কমার্স। এগুলো হয় ইনোভেশনের মাধ্যমে। আমাদের উদ্যোক্তাদের ইনোভেটিভ হতে হবে। আমাদের অনেক রকম ইনোভেশন দরকার। আমাদের কানেক্টিভিটি এবং ইউজেস গ্যাপের সঙ্গে সঙ্গে ইউজফুলনেস গ্যাপ রয়েছে। অনেক জায়গায় কানেক্টিভিটি থাকলেও ইউজফুল কানেক্টিভিটি হচ্ছে না। কনজ্যুমার সার্ভিস বাড়ানোর টার্গেট থাকলে টেলকো সেক্টর ফ্লারিশ করবে। টেলকো খাতে ইমিডিয়েট, মিড টার্ম ও লং টার্ম টার্গেট থাকা উচিত।

বিটিআরসি কমিশনার মাহবুব আলম তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৭৬টি আইডিয়া পেয়েছি, যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে ৩২টি আইডিয়া আগামী দিনের টেলিকমিউনিকেশনে যুগান্তকারী অবদান রাখবে। এর মধ্যে ৫টি আইডিয়াকে সম্মাননা দেওয়া হবে। তারা পাবে বিটিআরসি থেকে মেন্টরশিপ ও অন্যান্য সহযোগিতা।

একজন উদ্ভাবক যেমন নিজেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে তেমনি ভূমিকা রাখেন দেশের অর্থনীতিতে। বিশ্ববিদ্যালয় ও আইসিটি বিভাগকে সমন্বয় করে আমরা সামনে একটি একাডেমিয়া গঠন করতে চাই, যাতে ভবিষ্যতের গবেষণা শুধু কাগজে আটকে না থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তাৎক্ষণিক পাওয়ার রিস্টোর করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৫ম স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরির উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৪র্থ স্থান অর্জন করেছে ইবিতানস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্যোক্তাতাদের ডিজিটালি কানেক্ট করার উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ৩য় স্থান অর্জন করেছে গ্রামীণফোন। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে এক লাখ টাকা।

এবারে ফেয়ারে ইকো ফ্রেন্ডলি টাওয়ার স্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ২য় স্থান অর্জন করেছে ইডটকো বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিকে প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের উদ্ভাবনী আইডিয়ার জন্য ১ম স্থান অর্জন করেছে রোবোলাইফ টেকনোলজিস। তাদের প্রাইজমানি দেওয়া হয়েছে তিনি লাখ টাকা।

 

সর্বাধিক পঠিত