আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে একাদশে সাকিব আল হাসান
এক দশকের তথা গত ১০ বছরে ওয়ানডে ক্রিকেটের মাঠ মাতিয়েছেন- এমন সব ক্রিকেটারদের নিয়ে একটি সেরা একাদশ গঠন করেছে ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। সেই দশক সেরা একাদশে তথা বিরল ১১ জন ক্রিকেটারের তালিকায় ঠাঁই করে নিয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
ক্রিকেটের রথি-মহারথিদের ভিড়ে বাংলাদেশের কেউ থাকবেন- এটা এখন আর বিস্ময়কর নয়। অন্তত গত এক দশকে সাকিব-তামিমরা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। এবার সেই স্বীকৃতি মিললো আইসিসির পক্ষ থেকেও। সাকিব আল হাসানকে সেরা একাদশে জায়গা দিয়ে।
সাকিব আল হাসান একমাত্র খেলোয়াড় যিনি গত এক দশকে ৫ হাজার প্লাস রান করেছেন এবং উইকেট নিয়েছেন ১৭৭টি। ভারতের রবীন্দ্র জাদেজাকে কেন অলরাউন্ডার হিসেবে নেয়া হয়নি, এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গলা ফাটাচ্ছেন ভারতীয়রা। অথচ, গত এক দশকে রবীন্দ্র জাদেজা রান করেছেন ১৫০০ প্লাস এবং উইকেট নিয়েছেন ১৫০টি।
আইসিসি ওয়ানডে টিম অব দ্য ডিকেডে-এর তালিকায় সর্বাধিক তিনজন ঠাঁই পেয়েছে ভারতের। ২ জন করে অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকার, একজন করে নাম এসেছে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার। পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা জিম্বাবুয়ের কোনো ক্রিকেটারের ঠাঁই মেলেনি দশক সেরা ওয়ানডে একাদশে।
দশকসেরা একাদশ নির্বাচনে ভোটাভুটির আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ১০ ভাগ ভোট পয়েন্ট ছিল ভক্ত-সমর্থকদের। আর ৯০ ভাগ ভোট পয়েন্ট ছিল আইসিসি কর্তৃক নির্বাচিত নির্বাচকদের। দুই পক্ষের ভোটাভুটি শেষেই নির্ধারণ করা হলো ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত- এই এক দশকের সেরা একাদশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ছিলেন এই এক দশকে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ওপেনার হিসেবে তার নাম না আসাটা বিস্ময়কর। এছাড়া উইজডেন দশকসেরা একাদশে থাকার পর বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান জস বাটলার ঠাঁই পাননি আইসিসির একাদশে। তিনি বরং, ভারতের ধোনির সামনে টিকতে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইনের নাম না থাকাটাও বিস্ময়কর। গত এক দশকে তো বেশ প্রভাব বিস্তার করেই খেলেছেন তিনি। তবুও, এই এক দশকে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীরাই ঠাঁই পেয়েছেন একাদশে।
এই একাদশের নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে অবশ্য ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে। অবধারিতভাবেই রয়েছেন বিরাট কোহলি। ওপেনার হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ভারতের রোহিত শর্মা। যার ব্যাট থেকে এসেছে তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির ইনিংস। রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার। তিন নম্বরে ভারতের বিরাট কোহলি এবং চার নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স।
পাঁচ নম্বরে অলরাউন্ডার হিসেবে রাখা হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। এরপর ৬ নম্বরে ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক হিসেবে বাছাইতে উঠে এসেছেন ধোনির নাম। তিনি আবার নেতৃত্বও দেবেন এই দলকে। সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে আস্থার প্রতীক বেন স্টোকস। বল হাতেও পেস অলরাউন্ডারির ভুমিকায় তিনি অবিসংবাধিত।
রাখা হয়েছে তিন পেসার এবং এক স্পিনারকে। তিন পেসার হলেন অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক, নিউজিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট এবং শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। স্পিনার হিসেবে ঠাঁই মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির।
আইসিসির দশকসেরা ওয়ানডে একাদশ
রোহিত শর্মা (ভারত), ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া), বিরাট কোহলি (ভারত), এবি ডি ভিলিয়ার্স (দক্ষিণ আফ্রিকা), সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ), মহেন্দ্র সিং ধোনি (অধিনায়ক, ভারত), বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড), মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া), ট্রেন্ট বোল্ট (নিউজিল্যান্ড), ইমরান তাহির (দক্ষিণ আফ্রিকা) এবং লাসিথ মালিঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)।