তৃতীয় দিনের শুরুতেই মুশফিকের বিদায়

পাঁচ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ।মুশফিক আর মিরাজের ব্যাট থেকে বড় রানের লিড আশা করছিলো সবাই। কিন্তু মুশফিক দিনের শুরুতেই গ্যাব্রিয়েলের বলে বোল্ড আউট হয়ে ফিরে যান। মুশি আউট হলে টাইগারদের ছষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে। আউট হবার আগে ৩৯ বল থেকে ১৯ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের দলীয় সংগ্রহ ছয় উইকেটে ৭৭ রান। মেহেদি হাসান মিরাজ ৭ রানে ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৫ রানে ব্যাট করছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে উইন্ডিজকে ২৪৬ রানে অলআউট করে ৭৮ রানের লিড পায় বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাটিং নেমে শুরুতেই ইমরুল কায়েসের উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে শতক করা মুমিনুলও বেশি দূর যেতে পারলেননা। ব্যক্তিগত ১২ রান করে চেজের এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন। সেই সাথে টাইগারদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে। পরপর মিথুন ও সাকিব আল হাসান আউট হলে দ্রুতই ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।

প্রথম ইনিংসে মুমিনুলের শতকের (১২০) উপর ভর করে ৩২৪ রানের ইনিংস গড়ে বাংলাদেশ। যেখানে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ইমরুল কায়েসের। কিন্তু সে রানেও পেয়েছিলেন ২-৩বার জীবন। এতবার জীবন পেয়েও শতক হাঁকাতে না পারা টেস্ট ব্যাটসম্যানদের জন্য সমালোচনার বিষয়ই বটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দুর্দান্ত ইমরুল যেন টেস্টে একেবারেই ফিকে হয়ে পড়েছেন।

চট্টগ্রাম টেস্ট যে স্পিনারদের হয়ে উঠবে তা এক প্রকার অনুমিতই ছিলো। যে স্পিন বিষে নীল হয়ে উইন্ডিজ সেই পাতা ফাঁদেই পড়েছে বাংলাদেশও।

এর আগে সাকিব-নাঈমের স্পিনে কুপোকাত সফরকারীরা। অভিষিক্ত নাঈম সবচেয়ে কম বয়সে পাঁচ উইকেট দখল করে বিশ্বরেকর্ডই গড়েছেন। একই সঙ্গে দেশীয় স্পিনারদের মধ্যে চতুর্থ ও সবমিলিয়ে অষ্টম বোলার হিসেবে অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট দখলও করেন তিনি। অন্যদিকে সাকিব নিয়েছেন তিন উইকেট।