শতাব্দীর সেরা ‘নো বল’
শতাব্দীর সেরা বলটি এসেছিল কিংবদন্তি অজি লেগস্পিনারের হাত থেকে। আর শতাব্দীর সেরা ‘নো বল’ করে ক্রিকেটবিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিলেন ক্যারিবিয়ান পেসার শেলডন কটরেল।
শনিবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে অদ্ভূত নো বল করেন ক্যারিবিয়ান বাঁ-হাতি পেসার। যা ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে অন্যতম খারাপ ডেলিভারি হিসেবে চিহ্নত হয়ে থাকবে। কটরেলের ডেলিভারি ধরেন দ্বিতীয় স্লিপ ফিল্ডার। আম্পায়ার সঙ্গে সঙ্গে দু’ হাত প্রসারিত করে জানিয়ে দেন এটি নো বল।
শতাব্দীর সেরা ডেলিভারিটি করেছিলেন অজি লেগ-স্পিনার শেন ওয়ার্ন। ১৯৯৩ অ্যাশেজ সিরিজে ক্রিকেট মক্কা লর্ডসে। লেগ-স্টাম্পের বাইরে পড়ে মাইক গ্যাটিংয়ের অফ-স্টাম্প ছিকে দিয়েছিলেন কিংবদন্তি লেগ-স্পিনার। যা পরে ‘বল অফ দ্য সেঞ্চুরি’ হিসেবে চিহ্নত হয়।
শতাব্দীর সেরা নো-বল করে অবশ্য সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ক্যারিবিয়ান পেসার। তার পর আবার বোলিং রান-আপে ফিরে যান কটরেল। এ সময় ব্যাট করছিলেন বাংলাদেশ ব্যাটসম্যান আনামুল। ম্যাচে ৯ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৫৯ রান খরচ করে একটি উইকেট পান কটরেল। ১৮ রানে ম্যাচটি হারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ২-১ তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ। এর আগে অবশ্য দু’ টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশকে ২-০ হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ওয়ান ডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ক্রিস গেইলের ৬৬ বলে ৭৩ এবং রভম্যান পাওয়েলে ৪১ বলে ৭৪ রানের অপরাজিত ইনিংসেও হার বাঁচাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বুধবার সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কেই প্রথম টি-২০ বাংলাদেশকে সাত উইকেটে হারিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৪৩ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯.১ ওভারে তিন উইকেটে ৯৩ রান তোলার পর বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ হয়ে যায়৷ কিন্তু ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে সাত উইকেটে ম্যাচে জিতে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।