ইতিহাস গড়লেন ফিঞ্চ
নিজেকে ছাড়িয়ে গড়েছেন টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড। অ্যারন ফিঞ্চকে তা এনে দিল ইতিহাস গড়ার সম্মান। সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭৬ বলে ১৭২ রানের ইনিংসটির পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার ছুঁয়েছিলেন ৯০০ রেটিং পয়েন্ট। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবার এই মাইলফলকের দেখা পেলেন কেউ।
গত ৩ জুলাই রেকর্ড ইনিংসটির পর দুই ম্যাচে ভালো করতে পারেননি ফিঞ্চ। ফাইনালে আবার খেলেছেন ২৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট শেষে তার রেটিং পয়েন্ট ৮৯১। তবে ৯০০ ছোঁয়া প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইতিহাসে তার নাম লেখা হয়ে গেছে আগেই।
ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে ৭৬.৫০ গড়ে ৩০৬ রান করেছেন ফিঞ্চ। তিন ধাপ এগিয়ে উঠেছেন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।
আরেকটি বড় চমক দেখিয়েছেন ফখর জামান। ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের শেষ দুই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৭৩ ও ৯১ রান করেছেন পাকিস্তানি ওপেনার। ২৭৮ রান করে হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। এক লাফে ৪৪ ধাপ এগিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান উঠে এসেছেন ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে।
পরিবর্তন আছে তিন নম্বরেও। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১০১ রান করে ভারতের লোকেশ রাহুল এগিয়েছেন ৯ ধাপ, উঠেছেন তিনে।
চোটের কারণে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে খেলতে না পারা বাবর আজম এক থেকে নেমে গেছেন পাঁচে।
দশটি টি-টোয়েন্টি খেলেই সেরা দশে উঠে এসেছেন ডার্সি শর্ট। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার এগিয়েছেন ১৮ ধাপ। ১৯ ধাপ এগিয়ে ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় উঠেছেন ১৫ নম্বরে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে সেরা পাঁচে পরিবর্তন নেই। তবে জায়গা বদলেছে দুজনের। তিন থেকে চারে নেমেছেন যুজবেন্দ্র চেহেল, চার থেকে তিনে উঠেছেন ইশ সোধী। শীর্ষ দুইয়ে আগের মতোই রশিদ খান ও শাদাব খান, পাঁচে স্যামুয়েল বদ্রি।
এই ৫ লেগ স্পিনারের পর সেরা দশে ঢুকেছেন আরও এক লেগ স্পিনার। ৪ ধাপ এগিয়ে নয়ে উঠেছেন ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রশিদ।
বোলিংয়ের সেরা চমক অবশ্য অ্যান্ড্রু টাই। ৪১ ধাপ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসার উঠে এসেছেন সাত নম্বরে। ১৪ ধাপ এগিয়ে ১১ নম্বরে ইংলিশ পেসার লিয়াম প্লাঙ্কেট।
৬ ধাপ এগিয়ে ১২ নম্বরে উঠেছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির, ৬০ ধাপ এগিয়ে উনিশে অস্ট্রেলিয়ান পেসার বিলি স্ট্যানলেক।
অললাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ তিনে আগের মতোই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মোহাম্মদ নবি ও সাকিব আল হাসান।
দলীয় র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান আরেকটু সংহত করেছে পাকিস্তান। জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতে ১ পয়েন্ট বেড়ে তাদের রেটিং পয়েন্ট হয়েছে ১৩২।
এই টুর্নামেন্টের শেষ দুই ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে দুই নম্বর অবস্থান হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ৪ পয়েন্ট কমে তারা নেমে গেছে তিন নম্বরে (১২২)। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে ১ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে ভারত উঠেছে দুই নম্বরে (১২৪)।
২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ দলীয় এই র্যাঙ্কিং। এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ও র্যাঙ্কিংয়ের অন্য শীর্ষ ৯ দল সরাসরি খেলবে ২০২০ বিশ্বকাপে। বাকি ৬টি দলকে পেরিয়ে আসতে হবে ১৪ দলের বাছাইপর্ব।