বিসিবির সবচেয়ে কম খরচ হয় খেলোয়াড়দের পেছনে
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোষাগার ক্রমেই ফুলে উঠছে। প্রতি বছরই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রাজস্ব। কিন্তু বোর্ডের এই রাজস্ব বৃদ্ধির সুফল সামান্যই পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা।
বোর্ডের আয়ের মূল উৎস যারা, তাদের পেছনেই সবচেয়ে কম খরচ হয় বিসিবির। বুধবার ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিসিবির কোষাগারে জমা হতে পারে ৩০ মিলিয়ন ডলার। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সম্মিলিত বার্ষিক বেতন যার মাত্র ১.৮ শতাংশ।
বর্তমান বেতন কাঠামো অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারের মোট বার্ষিক বেতন মাত্র সাড়ে পাঁচ লাখ ডলার। জিম্বাবুয়ে ও আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটারদের বেতনও এর চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে থাকা দলের চার সিনিয়র সদস্য- মাশরাফি মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ বেতন পান। গত মে মাসে ৬৮ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পরও তাদের বার্ষিক বেতন মাত্র ৬৩ হাজার ডলার।
অথচ বিসিবির মোট আয়ের অর্ধেকেরও বেশি সরাসরি আসে জাতীয় দলের সৌজন্যে। অংকটা প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার। যার মাত্র ৩ শতাংশ পান ক্রিকেটাররা।
এছাড়া ২০ মিলিয়ন ডলারের টিভি স্বত্ব থেকে চলতি অর্থবছরে বোর্ডের আয় হবে ১.৪ মিলিয়ন ডলার। টিভি স্বত্ব, বিভিন্ন স্পন্সর চুক্তি এবং আইসিসির কাছ থেকে বোর্ডের প্রকৃত আয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণাও নেই ক্রিকেটারদের।
শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ওপর নির্ভরশীল যে ক্রিকেটাররা, তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকেন। ক্রিকেটারদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। এই মুহূর্তে জাতীয় দলের ছয়জন বিদেশি কোচিং-স্টাফের বার্ষিক বেতন প্রায় ১১ লাখ ডলার, যা খেলোয়াড়দের মোট বেতনের দ্বিগুণ।