আমি নিজে অধিনায়কত্ব ছাড়ছি না মুশফিক
রোববার সকাল থেকে বিসিবি পাড়ায় গুঞ্জন বইছে ব্লুমফন্টেইন টেস্ট শেষেই অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন মুশফিক। তবে সে শঙ্কা সত্যি হয়নি। ইনিংস ও ২৫৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেছেন,‘আমি নিজে অধিনায়কত্ব ছাড়ছি না। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।’
মুশফিকুর রহিমের অধিনায়কত্ব নিয়ে সমালোচনার শুরু সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ব্যাটিং উইকেটে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত থেকে।পরের টেস্টেও একই ভুল করায় সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন অধিনায়ক। দলের বাজে পারফরম্যান্স ও সংবাদ সম্মেলনে কোচকে নিয়ে মন্তব্য করে লেজেগোবরে অবস্থা পাকিয়ে ফেলেন। মুশফিকের ছেলেমানুষি মনোভাব, নেতৃত্বের অদূরদর্শিতায় হতাশ বোর্ডের কর্মকর্তারা।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বললেন, ‘আমি কেন সরে যাব। এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেটা নিচ্ছিও। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে।’
অধিনায়ক হিসেবে পায়ের নিচের মাটি আলগা হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে শুক্রবার দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের কথাতে। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করা নিয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নে মুশফিক বলেন, ‘কোচরা চেয়েছেন আমি যেন বাইরে বাইরে ফিল্ডিং করি। কারণ, সামনে থাকলে আমার কাছ থেকে নাকি রান হয়ে যায়। আমার হাতে ক্যাচট্যাচ আসলে নাকি ধরার সুযোগ থাকে না। টিম ম্যানেজমেন্ট যেটা আপনাকে বলবে সেটা তো আপনার করতে হবে।’
মুশফিকের অধীনে ৩৪ টেস্ট খেলে ৭টিতে জয়, ৯টি ড্র ও ১৮টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে তিন ফরম্যাটেই অধিনায়ক করা হয় মুশফিককে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দেন মুশফিক। মাত্র ২৩ বছর বয়সে জাতীয় দলের গুরু দায়িত্ব পান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
২০১৪ সালের অক্টোবরে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে টানা ব্যর্থতার কারণে কেড়ে নেওয়া হয় অধিনায়কত্ব। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার কাঁধে ওঠে গুরু দায়িত্ব। তবে টেস্টের নেতৃত্ব চালিয়ে যান মুশফিক। ৬ বছর দায়িত্ব পালনের পর পদ নিয়ে বিপাকে তিনি।