অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন না মুশফিক
অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পরে চারদিকে এমন গুঞ্জনের মধ্যে নিজের মত প্রকাশ করলেন মুশফিকুর রহিম। জানালেন, নিজে থেকে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়বেন।
তবে, টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিসিবি যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে সেটা মাথা পেতে নেবেন। রোববার ব্লুমফন্টেইন টেস্ট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে এভাবেই নিজের মত প্রকাশ করেন টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক।
২০১১ সালে ক্রিকেটের তিন ফরমেটে টাইগারদের অধিনায়কত্ব তুলে দেওয়া হয়েছিল মুশফিকুর রহিমের হাতে। যদিও তিন বছর পর রঙিন পোশাকের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয় মাশরাফি বিন মর্তুজার কাছে। আগলে রাখেন শুধু সাদা পোশাকের নেতৃত্ব। এখন সেটি থাকবেন কিনা সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে তিনি যে নিজে থেকে সরে যাচ্ছেন না সেটা স্পষ্ট করেছেন।
যদিও টেস্ট ক্রিকেটে ৭ বছর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে এসে তার সমাপ্তি দেখছিলেন অনেকেই। দু'টি টেস্টেই টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত, যা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে দু'টি টেস্টই বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে টিম ম্যানেজম্যান্ট ও কোচের সিদ্ধান্ত অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সামনে প্রকাশ করা।
যদিও ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত কি শুধু মুশফিকের, নাকি কোচ কিংবা টিম ম্যানেজম্যান্টের সেটাও প্রশ্ন থেকে যায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, সিদ্ধান্ত দুটি মুশফিকের ছিল বলে আমি মনে করি না। এটা টিম ম্যানেজমেন্টের মস্তিষ্কপ্রসূত।
অন্যদিকে, টিম ম্যানেজম্যান্ট, কোচ কিংবা খেলোয়াড় নিয়ে মিডিয়ার সামনে বলা কথাগুলোকে চাপে পড়ে এমন বলছেন বলে মনে করেন সাবেক এই অধিনায়ক।
অথচ টেস্টে টাইগারদের এযাবৎকালে পাওয়া ১০ জয়ের ৭টিই এসছে মুশফিকের নেতৃত্বে। এর মধ্যে গত বছর ঢাকায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়, মার্চে শ্রীলঙ্কায় স্বাগতিকদের বিপক্ষে নিজেদের শততম টেস্ট জয় এবং আগস্টে ঢাকায় শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া বধের দলপতি কিন্তু তিনিই। কিন্তু চলতি সিরিজে দুর্ভাগা ছিলেন মুশফিক।