মেসির সঙ্গে খেলা সহজ নয় দিবালা
পেরুর বিপক্ষে ম্যাচের আগে জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবার সুযোগ ছিল না আর্জেন্টিনার। লিওনেল মেসি মাঠে ছিলেন, খেলেছেনও দুর্দান্ত, কিন্তু তাতে ভাগ্য ফেরেনি। গোলশূন্য ড্রয়ে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে আলবিসেলেস্তেরা। অথচ একের পর এক গোল মিসের মহড়া চলার সময় বেঞ্চ গরম করছিলেন জুভেন্টাসের তারকা ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা। বদলি হিসেবেও মাঠে নামারও সুযোগ হয়নি তাঁর। দিবালা কি বোকা জুনিয়র্সের ফরোয়ার্ড দারিও বেনদেত্তোর চেয়ে খারাপ খেলেন যে পুরো সময় বেঞ্চে কাটাতে হলো তাকে।
ম্যাচের পর দিবালা বলেছেন, ‘মেসির সঙ্গে খেলা সহজ নয়, কারণ আমরা দুজন একই ধাঁচে খেলি।’ এই মন্তব্যের পরই চটেছেন আর্জেন্টাইন-সমর্থকেরা। দিবালার মন্তব্যকে প্রিয় তারকার প্রতি অপমান হিসেবে ধরে নিয়ে বিশ্বজুড়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তিরস্কারের মুখে পড়েন দিবালা। একে তো দল বিশ্বকাপে যেতে পারছে না, তার ওপর এমন মন্তব্যে অনেকেই ড্রেসিংরুমে কোন্দলের আভাস পান।
তবে কুয়াশা দূর করেছেন কোচ হোর্হে সাম্পাওলি। এই বিতর্ক সামলাতে গিয়ে তিনি দিবালার পাশেই দাঁড়িয়েছেন, ‘আমি দিবালার মন্তব্যে খারাপ কোনো কিছু দেখছি না। সে বলেছে, সে মেসির পাশে খেলতে পেরে খুশি। সে স্রেফ দলে নিজের জায়গাটা খুঁজে পায়নি।’ পেরুর বিপক্ষে ম্যাচে হয়তো মাঠে নামতেন দিবালা। কিন্তু ফার্নান্দো গ্যাগোর চোটে হঠাৎ করেই পরিকল্পনা বদলাতে হয় সাম্পাওলিকে।
সাম্পাওলির মতে, এটি দিবালার অনুভূতির একধরনের বহিঃপ্রকাশ, ‘বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের পাশে খেলার পর নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছে সে। লিওনেলের মতো অসাধারণ বুদ্ধিমান খেলোয়াড়ের পাশে নিজেকে মেলে ধরাটা খুবই কঠিন।’ তবে সামনের দিনগুলোতে মেসির পাশে দিবালাকে খেলতে দেখার সম্ভাবনাকে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
দুই তারকার বিতর্ক ভুলে আর্জেন্টিনাকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে হচ্ছে বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচ নিয়ে। ইকুয়েডরের মাঠে স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিততেই হবে মেসিদের। অথচ ২০০১ সালের পর ইকুয়েডরের মাঠে কখনোই জেতেনি আর্জেন্টিনা। ১৬ বছরের পুরোনো ইকুয়েডর-ধাঁধার সমাধান করতে হলে দলের সবার সবটুকু মাঠে ঢেলে দিতে হবে। তাঁর আগেই মেসি-দিবালাকে একসঙ্গে খেলানোর ফর্মুলাটা খুঁজে নেওয়ার চেষ্টায় থাকবেন সাম্পাওলি।
সূত্র: এক্সপ্রেস ইউকে