চার বছর পর তামিম-সাকিববিহীন বাংলাদেশ
বাংলাদেশের ক্রিকেট মানেই যেন তামিম ইকবাল ও সাকিব। যে কয়েকটি নাম বাংলাদেশের ক্রিকেটকে প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন এই দুই ক্রিকেটার। তাঁরা ভালো খেললে বাংলাদেশ জিতবে এটাই নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে এই দুজনকে ছাড়াই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। বিশ্রামের কারণে শুরু থেকেই সিরিজে নেই সাকিব। এবার ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে গেলেন তামিম। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম এই দুই তারকাকে ছাড়াই মাঠে নামবে টাইগাররা।
টেস্ট-ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন জায়গাতেই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। তালিকার পরের নামটি সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের ব্যাটিং মানেই তো তামিম-সাকিবের রান। বোলিং বিভাগে দেশ সেরা সাকিব আল হাসান। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। ওয়ানডেতে সাকিবের চেয়ে এগিয়ে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা। বোঝাই যাচ্ছে, দেশের ক্রিকেটে এই দুজনের প্রভাব কতখানি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টে এই দুজনকে ছাড়াই নামবে বাংলাদেশ। এর আগে সর্বশেষ ২০১৩ সালে এই দুজনকে ছাড়া মাঠে নামে টাইগাররা। সেবার অবশ্য মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ আশরাফুল তাদের অভাবটা বুঝতে দেননি। মুশফিক (২০০) ও আশরাফুল ১৯০ রান করেছিলেন। লঙ্কানদের ৫৭০ রানের জবাবে ৬৩৮ রানের বড় স্কোর গড়েছিল টাইগাররা ম্যাচটা ড্র হয়েছিল।
এবারও তেমন কিছুর প্রত্যাশা করছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। তামিমের জায়গায় খেলবেন সৌম্য সরকার। ২০১৩ সালের পর এই প্রথম নতুন উদ্বোধনী জুটি পাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌম্যর সঙ্গে নামবেন ইমরুল কায়েস। তামিমের অভাব পূরণ করা গুরুদায়িত্ব এই দুজনের কাঁধে থাকছে। এ ছাড়া মুমিনুল, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে হতাশ করেছেন ইমরুল। প্রথম ইনিংসে মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহরা ভালো খেললেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে মুশফিকের দল। দেখা যাক, সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে দলের প্রধান দুই তারকার অভাবটা কীভাবে পূরণ করেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।