বিশ্বকাপে খেলতে পারবে তো আর্জেন্টিনা
২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলার স্বপ্নটা দুলছে পেন্ডুলামের মত। আগামী সাত দিনে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে তাদের শেষ দুটি ম্যাচই নির্ধারণ করে দেবে রাশিয়া বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির দল সরাসরি খেলতে পারবে কি না।
দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ব্রাজিল। বাকি আছে তিনটি জায়গা। শেষ দুই রাউন্ড কোয়ালিফাইং ম্যাচের পর নির্ধারিত হবে ব্রাজিলের সঙ্গী হয়ে এই গ্রুপ থেকে সরাসরি কারা খেলবে বিশ্বকাপে।
এই গ্রুপে আর্জেন্টিনা আছে পয়েন্ট তালিকার পাঁচ নাম্বারে। বিশ্বকাপে সরাসরি নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করতে সেরা চারের মধ্যে থাকতে হবে মেসির দলকে। আগামী ৬ অক্টোবর বুয়েন্স আয়ার্সে তারা খেলবে পয়েন্ট তালিকার চার নাম্বারে থাকা পেরুর বিপক্ষে। এর পাঁচদিন পর রাউন্ডের শেষ ম্যাচটি খেলতে হবে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেকটা উঁচু ইকুয়েডরে।
কোয়ালিফাইং রাউন্ড উৎরাতে না পারলেও যে আর্জেন্টিনার সুযোগ একেবারে শেষ হয়ে যাবে এমন নয়। তবে বিপদ আরও বাড়বে নিঃসন্দেহে। দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তাহলে দুটি প্লে-অফ খেলতে হবে ওসিনিয়া অঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ফিফা র্যাংকিংয়ের চার নাম্বারে থাকা আর্জেন্টিনা বাছাইপর্বের সর্বশেষ নয় ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র ২টিতে। এখন পর্যন্ত বাছাইপর্বে মোটে ১৬টি গোল দিতে পেরেছে তারা। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে সবচেয়ে কম গোল পাওয়া দলের মধ্যে যেটি দ্বিতীয়। এমনকি ডিফেন্সিভ মানসিকতা নিয়ে খেলা প্যারাগুয়েও বাছাইপর্বে তাদের যে বেশি গোল করেছে।
এমন পারফম্যান্সের পর আগামী বছরের মার্চ থেকে শুরু রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার অংশগ্রহণ পড়ে গেছে ভীষণ অনিশ্চয়তায়। যদি এখান থেকে ঘুরে না দাঁড়াতে পারেন মেসিরা, তবে ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে খেলতে দেখা যাবে না দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
আর্জেন্টিনার মত একইরকম ঝুঁকিতে আছে চিলি। পয়েন্ট তালিকার ছয় নাম্বারে থাকা অ্যালেক্সিস সানচেজের দল শুক্রবার খেলবে অষ্টম স্থানে থাকা ইকুয়েডরের বিপক্ষে। আর কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তাদের শেষ ম্যাচ ১১ অক্টোবর শক্তিশালী ব্রাজিলের বিপক্ষে।