• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

স্ত্রী-মাকে হত্যায় গ্রেপ্তার ভারতীয় বক্সার

প্রকাশ:  ০২ অক্টোবর ২০১৭, ১৬:১১
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট

দুই বছর আগে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে এমনিতেই বিচারের আওতায় ছিলেন রমিজ প্যাটেল। এবার আরও একটি খুনের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই বক্সার ও ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিমপোপো অঞ্চলের পুলিশ শুক্রবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে মাকে হত্যার অভিযোগে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পোলোকাওয়ানে শহরে ভারতীয় অভিবাসীদের অঞ্চল নির্ভানায় তিন সন্তানসহ মাকে নিয়ে থাকতেন ৩০ বছর বয়সী রমিজ। প্রায় ১৫ দিন আগে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি হন তাঁর মা মেহজাবিন বানু প্যাটেল। চিকিৎসকেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেও তাঁকে বাঁচাতে পারেননি। এরপরই ঘটনার তদন্তে নামে পোলোকাওয়ানের ওয়েস্টানবুর্গ অঞ্চলের পুলিশ।

রমিজ সেই সময় পুলিশকে বলেছিলেন, চোর-ডাকাত গোছের কে বা কারা তাঁর বাড়িতে ঢুকে মাকে হত্যা করেছে। কিন্তু রমিজের এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনার কোনো মিল খুঁজে পায়নি পুলিশ। তাঁর বাড়িতে কোনো কিছু চুরি কিংবা খোয়া যায়নি। এরপরই রমিজের ওপর সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। কেননা, ২০১৫ সালে তাঁর স্ত্রী ফাতিমার মৃত্যুর ব্যাপারেও একই কারণ দেখিয়েছিলেন রমিজ। অথচ, সেই সময়েও তাঁর বাড়িতে কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। অগত্যা ‘সন্দেহভাজন আসামি’ হিসেবে রমিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আগামীকাল তাঁকে হাজির করা হবে পোলোকাওয়ানে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

পুলিশের মুখপাত্র লে. কর্নেল মোয়াথে এনগোয়েপে হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেন, ‘শহর থেকে কিছুটা দূরের অঞ্চল নির্ভানায় গৃহকর্মীর সঙ্গে নিজ বাসায় ছিলেন রমিজের মা। আনুমানিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে সন্দেহভাজন সেই ব্যক্তি রমিজের মাকে গুলি করে। হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর রমিজের মা মারা যান। তবে গৃহকর্মী অক্ষত ছিলেন। হত্যার কারণ নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত নয়। তবে হত্যার সঙ্গে রমিজের যোগসূত্র রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।’

দুই বছর আগে রমিজের স্ত্রী ফাতিমা মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁদের তিন সন্তানের যত্ন নিতেন মেহজাবিন বানু। স্ত্রী ফাতিমা হত্যায়ও রমিজ সন্দেহভাজন আসামি। ২০১৫ সালের এপ্রিলে মাথায় কয়েকটি আঘাত ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা যান ফাতিমা। তাঁর গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছাড়াও খুলির একটা অংশ ভেঙে গিয়েছিল। রমিজ এই হত্যাকাণ্ডের জন্যও দায়ী করেছিলেন চোর-ডাকাতকে। সেই মামলার তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, রমিজ তার বাসায় চুরির ঘটনা বর্ণনা করেছিলেন ওই গৃহকর্মীর সাহায্য নিয়ে। পুলিশ সম্ভবত সেই গৃহকর্মীকে এখন দুটি হত্যাকাণ্ডেরই রাজসাক্ষী বানাবে।

মেহজাবিন বানু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেভিড এনকুনা জানিয়েছেন, রমিজের বিরুদ্ধে এর আগে আরও দুটি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে টনি অ্যাডামস নামের এক কিশোরের লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল তাঁর বাড়ির পাশে। এ ছাড়াও ইথিওপিয়ার এক অভিবাসীকে খুনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য তথ্যপ্রমাণের অভাবে রমিজ ছাড়া পান। 

সূত্র: এনডিটিভি, আইওএল, সিটিজেন

সর্বাধিক পঠিত