• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

একটি ঘটনা এবং কুচক্রী মহলের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান

প্রকাশ:  ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০১:৩৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিষয়টি যেহেতু মীমাংসিত এবং যে ঘটনা ঘটেছে, উভয়ের মাঝে তার হৃদ্যতাপূর্ণ সমাধান হয়ে গেছে, তাই এটি নিয়ে আর লেখালেখির কোনো প্রয়োজন নেই বলেই ভেবেছিলাম। কিন্তু এ সমাজের কিছু নষ্ট কীট এ অনাকাক্সিক্ষত এবং মীমাংসিত ঘটনাকে পুঁজি করে যেভাবে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করছে, তা হয়তো অনেকের কাছেই সত্য বলে মনে হচ্ছে। আবার কিছু কিছু ভদ্রলোক পুরো ঘটনা সম্পর্কে না জেনে আমার সম্পর্কে নানা বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট দিচ্ছেন এবং কমেন্টস্ করছেন। গত দু’দিন যাবৎ আমার সুহৃদ এবং শুভাকাক্সক্ষীরা অনেকে সরাসরি এবং ফোনে প্রকৃত ঘটনা আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছেন। সত্য ঘটনা জানার পর তাঁদের অনুরোধে জনমনের নানা বিভ্রান্তি নিরসনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরতে বাধ্য হলাম।
    প্রকৃত ঘটনা হচ্ছেÑআমি গত ২২ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চাঁদপুর শহরের আলিমপাড়াস্থ লেডী দেহলভী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জনাব ইলিয়াছ হোসেনের কাছে যাই ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজে।       

প্রধান শিক্ষকের অফিসে বেশ কিছুক্ষণ বসে তাঁর সাথে প্রয়োজনীয় কথা সেরে নেই। সেখানে তখন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়েমসহ আরো কয়েকজন বসা ছিলেন। ইলিয়াছ স্যারের সাথে কথা শেষ করে আমি যখন স্কুল থেকে বের হচ্ছি তখন স্কুলের মধ্যাহ্ন বিরতি ছিলো। আমি স্কুল থেকে বের হয়ে দেখি স্কুলের সামনে (জনাব বাচ্চু সাহেবের বাড়ির গেট বরাবর) ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৫/৬ জন ছেলে দাঁড়িয়ে নিজেরা দুষ্টামি করছে এবং স্কুলের গেটের দিকে উঁকি দিচ্ছে। তখন আমি ওই ছেলেদের বললাম, ‘তোমরা এখানে কী করো? মেয়েদের স্কুলের সামনে এ সময় আড্ডা দেয়া তো ঠিক না।’ আর তখন ওই ছেলেদের মধ্য থেকে মিশকাত (পরবর্তীতে নাম-পরিচয় জানা) ও অন্য একটি ছেলে বলে উঠে ‘আমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছি, আপনার সমস্যা কী?’ তখন আমি তাদেরকে বললাম, ‘সমস্যা তো আমার না, সমস্যা তোমাদের হবে। মেয়েদের স্কুলের সামনে স্কুল চলাকালীন আড্ডা দেয়া যায় না। এটা নিষেধ আছে। তোমরাই বিপদে পড়বা। যাও এখান থেকে চলে যাও।’ এরপরও ওই ছেলেগুলো ‘না আমরা যাবো না, আমাদের এখানে কাজ আছে’ বলে তারা একজন আরেকজনের সাথে হাসি-ঠাট্টা করে। অর্থাৎ আমার সাথে অনেকটা উপহাস করলো তারা। তখন তাদের বললাম, ‘তোমাদের বাসা কোথায়? বেয়াদবি করো কেনো?’ তখন মিশকাত নামে ওই ছেলেটি সামনে কবরস্থানের পাশে থাকা বাসার দিকে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে বলে ‘এইটা আমার বাসা।’ আবার বাচ্চু সাহেবের (টিটুদের বাসা) বাসার দিকে দেখিয়ে বলে ‘এটাও আমাদের বাসা।’ এভাবে তারা আমার সাথে উপহাসসহ হাসি-ঠাট্টা করতে থাকে। তখন আমি মিশকাতকে বললাম, ‘চলো তোমাদের বাসায় চলো, তোমার গার্ডিয়ানের সাথে কথা বলবো।’ এ কথা বলার পর মিশকাত আমাকে বাচ্চু সাহেবের (টিটুদের বাসা) বাসার দিকে নিয়ে যায় এবং সাথে তার বন্ধুরাও যায়। বাসার গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুকে বিল্ডিংয়ের নিচতলায় সিঁড়ির সাথে একটি রুমের দরজায় নক করে মিশকাত। এরপর দুইজন ছেলে খালি গায়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলো। তখন দেখা গেলো এটি একটি মেস। আমি তখন মিশকাতকে বললাম, ‘এটা তো মেস, তুমি না বললা তোমার বাসা। তুমি কি মেসে থাকো নাকি? তুমি যে আমার সাথে চালাকি করছো? দেখো তুমি কিন্তু ফাজলামো করছো। তোমার বাবা-মা থাকে কোথায়?’ তখন মিশকাত বলে, ‘বাবা-মা এখানে থাকে না।’ এভাবে একের পর পর মিথ্যা কথা, প্রতারণা ও উপহাস করতে থাকলে তখন আমি নিশ্চিত হই এরা এ এলাকার না। এরা বহিরাগত। এক পর্যায়ে আমি রাগান্বিত হই। তবে তখনো আমি নিজেকে সংযত রাখি। তখন আমি মিশকাতকে বলি, ‘এই তোর বাবার নাম কী, বাবা কী করে?’ মিশকাত বলে, ‘আমার বাবার নাম জহিরুল ইসলাম, আউয়াল পাটওয়ারীর কোল্ড স্টোরেজের ম্যানেজার।’ এরপর আমি ওই কোল্ড স্টোরেজের সামনে বাড়ি আমার এক আত্মীয়কে ফোন করে জিজ্ঞেস করি, ‘জহিরুল ইসলাম নামে এখানে কোনো ম্যানেজার আছেন কি না?’ তখন তিনি আমাকে জানালেন, এখানে তো জহির নামে কোনো ম্যানেজার নেই। এখানকার ম্যানেজারের নাম হচ্ছে মোস্তফা। তখন আর আমার কোনো সন্দেহ রইলো না যে এই ছেলেগুলো বহিরাগত, প্রতারক এবং ভদ্রবেশী বখাটে। অবশ্য পরে আমার এ ভুল ভেঙ্গেছে। তবে তাদের আচরণ ছিলো আপত্তিকর। এতটুকু সময় পর্যন্তও আমি নিজেকে সংযত রেখে মিশকাতের কাছে তার বাবার মোবাইল নাম্বার চাই। তখন সে বললো, ‘মোবাইল নাম্বার আমার জানা নেই।’ তখনই আমি তাকে থাপ্পর দেই। এরপর সে ফোন হাতে নিয়ে অমুক তমুক বড় ভাইকে ফোন দেয়। তখন তাকে বলি, ‘তোর বাবা-চাচা কে আছে ফোন র্ক, আসতে বল্।’ প্রায় ২০ মিনিটের পুরো এ ঘটনার সর্বশেষ এ অংশটিই (১ মিনিটের দৃশ্য) ধূর্ত ওই ভদ্রবেশী বখাটে ছেলেগুলো গোপনে ভিডিও করে। এটিই একটি কুচক্রী মহল ফেসবুকে সে রাতেই ছেড়ে দিয়ে ঘটনা নিয়ে চরম মিথ্যাচার শুরু করে। মানবতার দেয়াল, এটা-সেটা লিখে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করতে থাকে। তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, মানবতাবোধ বা মানবতার জন্যে কাজের বিষয় যদি আমাকে বুঝাতে হয় তাহলে এটি হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই নয়। আমি তো সেই ব্যক্তি, যে আরো এক বছর আগে আমার সাংগঠনিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গিয়ে তপ্ত রোদে পাহাড় বেয়ে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী পরিবারের মাঝে আড়াই লাখ টাকার মতো বিতরণ করেছি। উখিয়ায় ও কক্সবাজারের বিভিন্ন হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ও আহত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। যা তখন চাঁদপুর কণ্ঠে ‘আদম সন্তানদের এ কী হাল’ শিরোনামে সিরিজ প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে। এছাড়া অসহায়, নিরীহ ও গরিব রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে আমার নিজ শরীর থেকে রক্ত দেয়ার পুরানো রেকর্ড তো আছেই। এখন আমাকে যদি কিছু অর্বাচীন মানবতার ছবক দিতে চায়, তাহলে এটি তো আমার সাথে ঠাট্টা, মস্করা করারই শামিল বলে আমি মনে করি।
প্রিয় পাঠক, সেদিনকার ঘটনাটি ছিলো প্রায় ২০ মিনিটের মতো। এর মধ্যে ১৮ মিনিট ওই ভদ্রবেশী ছেলেগুলো আমার সাথে যে কী আচরণ করেছে সেটি তো আর আমি ভিডিও করে রাখিনি। আর উদ্দেশ্যও তো তা ছিলো না। অথচ আমি যখন সর্বশেষ রাগান্বিত হয়ে ওই ছেলেকে (যে আমার সাথে খুব বেশি তর্ক এবং মিথ্যা কথা বলেছে) থাপ্পর দিয়েছি, সেই এক মিনিটের ঘটনার দৃশ্যটিই তাদের মধ্য থেকে ধূর্ত ভদ্রবেশী বখাটে একজন গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করেছে আর সেটিই ফেসবুকে ছেড়ে দিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
যাই হোক, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় ওই ছেলেটির (যাকে আমি থাপ্পর দিয়েছি) নাম-পরিচয় জানতে পারলাম। ছেলেটির বাবা জহিরুল ইসলাম (যাকে আমি বহু আগ থেকে জহির ভাই হিসেবে চিনি এবং সম্মান করি) সেদিন সন্ধ্যায় আমার পত্রিকা অফিসে আসেন। তখনই জানা গেলো ওই ছেলেটি তাঁর ছেলে, যার নাম মিশকাত। এটি জানার পর আমি জহির ভাইয়ের কাছে খুবই লজ্জিত হলাম এবং দুঃখ প্রকাশ করলাম। সাথে সাথে এও বল্লাম, ‘জহির ভাই, ও আপনার ছেলে! আমার কাছে তো অবাক লাগছে, সে এমন আচরণ করলো কেনো বুঝলাম না। যাক্ যা হয়েছে এটা এখন সম্পূর্ণ নিজেদের বিষয় হয়ে গেছে। এটা সমাধান হয়ে যাবে। তিনিও আমার কথায় সায় দিলেন এবং তার বাসায় গিয়ে এক কাপ চা খেয়ে তার ছেলেকে একটু সান্ত¡না দিয়ে আসার জন্যে বললেন। তখন আমি বললাম, অবশ্যই যাবো। আপনার সাথে তো সেই ২০/২৫ বছর আগের সম্পর্ক। আপনার ছেলে সঠিক পরিচয় না দেয়ায় এমনকি তাদের বাসা যে সোহাগ মঞ্জিল সেটিও না বলায় তাদের সবাই বহিরাগত বলে আমার নিশ্চিত ধারণা হয়। আর এ কারণেই ঘটনা এতো দূর গড়িয়েছে। যাই হোক, পরদিন তাদের বাসায় গিয়ে বিষয়টির সমাধান হবে বলে কথা হয়। একই বিষয়ে সে রাতেই কথা হয় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমার এক সময়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বড় ভাই জাফর ইকবাল মুন্না ভাইয়ের সাথে (মুন্না ভাইয়ের অফিস সে এলাকায়)। মুন্না ভাইও বললেন, এটি নিয়ে আর কেনো বাড়াবাড়ি হবে না। সুন্দর সমাধান হয়ে যাবে, যেহেতু নিজেদের মধ্যে ঘটনা। ঘটনার দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মুন্না ভাই এবং জহির ভাইয়ের সাথে এটাই আমার শেষ কথা।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, দুপুরের ঘটনার শেষ সময়ে যখন সে এলাকায় পুলিশ আসে তখন মুন্না ভাইসহ এলাকার কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে দেখি এস রহমান নামে একটা ছেলে ওই ২০ মিনিটের ঘটনার সর্বশেষ ১ মিনিটের দৃশ্যের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। যেখানে আমার রাগান্বিত এবং ছেলেদের বকাবকি ও থাপ্পর দেয়ার দৃশ্যটিই শুধু রয়েছে। কিন্তু এর আগে ১৯ মিনিট ছেলেগুলো কী আচরণ করেছে তার তো কোনো রেকর্ড বা ভিডিও ফুটেজ নেই। আর এ ফুটেজ দিয়েই এখন আমাকে নিয়ে নানা অপপ্রচার এবং নোংরা খেলায় মেতেছে এই সমাজের কিছু নষ্ট কীট। তবে আমি এতে বিচলিত নই। নিকট অতীতেও আমার আদর্শিক শত্রু (মওদুদীবাদী জামাত-শিবির এবং ওহাবীবাদীরা) ও সমাজের কিছু দুর্বৃত্ত খারাপ লোক আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপপ্রচার করেছে। আর বিচলিত নই এজন্য যে, যারা এইসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করে পোস্ট দিচ্ছে, শেয়ার করছে এবং আমাকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে কমেন্টস্ লিখছে তাদেরকে এ সমাজের মানুষ চিনে। তারা অসুস্থ জগতের মানুষ। আবার কেউ কেউ ঘটনা না জেনেও মন্তব্য করছেন, তাদের বিষয়টি ভিন্ন। পাশাপাশি আমি এবং আমার পরিবারের সবাইকে শুধু এ শহর নয় জেলারও অনেকেই চিনেন।
প্রিয় পাঠক, অন্যায়ের প্রতিবাদ করাটা আমার স্বভাবগত। এবার অন্যায়কারী যতোবড় প্রভাবশালীই হোক। তবে এ প্রতিবাদ করতে গিয়ে কখনো কখনো হয়তো আমি একটু উত্তেজিত হয়ে যাই। যা পরিহার করা উচিত, তা আমি নিজেও অনুভব করি।
এখন সর্বশেষ কথা হচ্ছে-যার বা যাদের সাথে আমার সমস্যা হয়েছে, তাদের (মিশকাতের) বাসায় ঘটনার পরদিন বুধবার রাতে আমি এবং জাফর ইকবাল মুন্না ভাই, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর ঢালী ও ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারীসহ গণ্যমান্য আরো ক’জন গিয়ে খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো, মিশকাতকে আমি সন্তানের মতো বুকে জড়িয়ে নিলাম, মিশকাতও সে রাতেই ভুল বুঝাবুঝির অবসান হয়েছে মর্মে তার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়েছে। তারপরও ওই নষ্ট কীটগুলোর শয়তানি বন্ধ হয়নি। তারা একের পর এক ওই ১ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ দিয়ে নানা আজেবাজে মন্তব্য লিখে পোস্ট দিচ্ছে। এতেই বুঝা যাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন তো আমার সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে, আমার সেই পুরানো শত্রুদের পরিকল্পিত কোনো ঘটনা কি না এটি। আর না হয় ২০ মিনিটের ঘটনার শুধুমাত্র সর্বশেষ ১ মিনিটের দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণা হবে কেনো? তবে ইনশাআল্লাহ মহান রাব্বুল আলামীনের উপর ভরসা করে বলছি, এবারো কুচক্রী মহল ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে না। কেননা আমার নিয়তের মধ্যে পরিশুদ্ধতা রয়েছে। হয়তো কাজ করতে গিয়ে কৌশলগত কোনো ভুল হতে পারে। আর এর জন্যে সাময়িক একটু সমস্যায় পড়তেই হবে, এটাই স্বাভাবিক।
Ñএএইচএম আহসান উল্লাহ
বার্তা সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ।

 

 

 

সর্বাধিক পঠিত