“সতর্কত বার্তা “ কখনো কাউকে ব্ল্যাংক চেক দিবেন না “
স্থানীয় এক টা সমিতির নিকট থেকে এক লক্ষ্য টাকা লোন নেয়
কোহিনুর বেগম (ছদ্মনাম ) । চুক্তি মোতাবেক তিনি এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করবেন এবং প্রতি মাসের ১-৫ তারিখের মধ্যে ১৩,০০০ ( তের হাজার) টাকা করে দশ কিস্তিতে উক্ত টাকা পরিশোধ করবেন । সমিতির সভাপতি সম্পাদক কোহিনুর কে ব্যাংক একাউন্ট করালেন এবং উক্ত টাকার জামাত হিসাবে
দশ কিস্তির জন্য চেক বইয়ের পাতা থেকে সম্পূর্ন ব্ল্যাংক চেকে কোহিনূরের স্বাক্ষর রেখে দিলেন ।
প্রথম কিস্তির টাকা তাহারা রেখে কোহিনুর বেগমকে ৮৭ হাজার টাকা আর অফিসের পিয়ন কে দুই হাজার টাকা দিয়া ৮৫ হাজার টাকা নিয়া কোহিনুর বাড়ি ফিরলেন ।
সমিতির কিস্তির টাকা সময় মত পরিশোধ করতে না পারলেও প্রতিমাসে ১০-২০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করেন । অনেক দিন পর এক সময় আদালত থেকে সমন নোটিস যায় “ কোহিনুর খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে এন আই এক্ট এর ১৩৮ ধারায় ৫ লক্ষ টাকার মামলা করেন মামলার বাদী সমিতির সভাপতি । কোন ভাবেই বাদীকে আপোষ করাতে না পেরে আইনানুসারে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েই আপোষমুলে কোহিনুর রক্ষা পায় । তার কিছু দিন পর অন্য জেলার আদালত থেকে ওয়ারেন্ট মুলে কোহিনুর গ্রেফতার হয় , খবর নিয়ে জানা যায় ৫ লক্ষ টাকার চেক ডিসওনার মামলা ‘ আদালত থেকে কোহিনূরের ছেলে তার মাকে জামিনে মুক্ত করেন “ ঐ মামলা থেকে মুক্তি পেতে হলে কোহিনুর কে হয়তো ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে মুক্তি নিতে হবে ।
কিছু দিন পর কোহিনুর জানতে পারে অন্য আরেক টি মামলা হয়েছে ২০ লক্ষ টাকার ‘ মামলার বাদীকেই কোহিনুর চিনেন না । কোহিনুর ধারনা করছেন তিনি সমিতির সভাপতি ছাড়া অন্য কাউকে চেক দেন নাই সেহেতু সমিতির সভাপতি নিজে এবং পর্বতীতে অন্যদের দিয়ে প্রতারনামুলক ভাবে চেক ডিজওনার মামলার সুযোগ নিয়ে কোহিনুর কে সর্বশান্ত করছে ।
শুধু মাত্র কোহিনুর নয় ! কোহিনূরের মত অসংখ্য মানুষের নিকট থেকে ব্ল্যাংক চেক নিয়ে চেক ডিসওনার মামলার ফাদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কতিপয় সমিতির নামে প্রতারক চক্র ।
অন্য দিকে জাহানারা বেগমের স্বামী বিদেশে চাকুরী করেন ‘ সমিতির সভাপতি সম্পাদক প্রতি মাসে ৪ হাজার টাকা মুনাফা দেওয়ায় আশ্বাসে জাহানার ব্যাংকে থাকা ৫ লক্ষ টাকা সমিতিতে আমানত রাখে । কিন্তু কিছু মাস টাকা দেওয়ার পর পরই সমিতির সভাপতি সম্পাদক জাহানারাকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় । জাহানরা টাকা চাইলে সভাপতি দোষ দেয় সম্পাদকের , সম্পাদক দোষ দেয় সভাপতির । কিন্তু জাহানার টাকার কোন ব্যবস্থা হচ্ছে না “ জাহানারা আদালতের সরনাপন্ন হন কিন্তু সমিতিতে টাকা রেখেছেন মর্মে জাহানারাকে সমিতির যেই বউ দেওয়া হচ্ছে সেখানে অপর্যাপ্ত স্বাক্ষ প্রমানের অভাবে সমিতির সভাপতি সম্পাদক আইনের ফাঁক পোকরে জামিন পেয়ে যান ।
এমন অসংখ্য জাহানারাদের কাছ থেকে আমানতের নাম করে লাভের লোভ দেখিয়ে অর্থ সম্পদ লুটপাট করে বাড়ি গাড়ি এসি রুমে বসে দিন কাটাঁচ্ছেন কতিপয় প্রতারক চক্র ।