• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

দীপু মনিরা উঠে আসে স্বমহিমায়। ---- রতন কুমার মজুমদার

প্রকাশ:  ২৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:২৭ | আপডেট : ২৯ আগস্ট ২০১৮, ২৩:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

দীপু মনিরা উঠে আসে স্বমহিমায়।

রাজনীতি যদি মানুষের কল্যাণের জন্য হয় তবে এমন রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজনীতি করা মানুষের সংখ্যা কতজন ? রাজনীতি করতে হলে , মানুষের মনের গহীনে আসন করে নিতে হলে নিজস্ব সকীয়তা দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করার মধ্যেই নিজেকে একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে তুলে ধরা যায়। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমন রাজনীতি করা মানুষগুলোকেই তুলে এনে স্থান করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। বঙ্গবন্ধু যেমন চিনে নিয়েছিলেন জাতীয় চার নেতাকে তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যাও কয়েকজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করা মানুষকে সাহচার্যে রেখেছেন। 
সহনশীলতা , ঔদার্য , বিনয়াবনতা, ভদ্রতা একজন মানুষকে নিয়ে যেতে পারে রাজনীতির শিখরে। দীপু মনি তাদেরই একজন। অনেক সময় অবাক বিস্ময়ে ভাবি একজন রাজনীতিবিদ কতটুকু মার্জিত রুচী , ভদ্রতা, সৌজন্যবোধ সম্পন্ন এবং বিনয়ী হতে পারে। কিভাবে মানুষকে আপন করে নিতে হয় , কিভাবে মানুষকে মানুষ হিসেবে শ্রদ্ধা করতে হয় দীপু মনির কাছে তা শিখতে হয়। প্রতিনিয়ত শিখছি ঔদার্যতা দিয়ে কিভাবে মানুষকে আপন করে নেয়া যায়। ন্যায় নীতির মধ্যে থেকে কিভাবে রাজনীতি করা যায়। চরম সংকটেও কিভাবে নিজেকে বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতি অবিচল থাকতে হয়। তাইতো তিনি দীপু মনি। আমাদের চাঁদপুরের অহংকার ।
একটি রাজনৈতিক পরিবারের জন্ম নিয়ে রাজনীতিকেই পাথেয় করে নিয়েছেন। নিজেকে সপে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে। বাবা এম এ ওয়াদুদ । একজন ভাষাবীর , মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক , সাংবাদিক। বাংলাভাষা , স্বাধীকার ও জনগনের সার্বিক মুক্তির আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের কর্মাধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত ছিলেন। দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৫৩-১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবার কারণে কারাবরণ করেন।১৯৪৭ থেকে ১৯৮৩ সালে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত বাংলা ভাষা , স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির সকল আন্দোলনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর। মা রহিমা ওয়াদুদ অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। 
দীপু মনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 
শিক্ষাগত যোগ্যতা : এম বি বি এস ( ডিএমসি) , এল এল বি ( এন ইউ) পি এইচ ( জন্স হপকিন্স) দ্বন্দ নিরসন , মধ্যস্থতা ও সমঝোতা বিষয়ে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষ কোর্স সম্পন্ন করেছেন।পেশাগতভাবে তিনি রাজনীতিবিদ , আইনজীবী , জনস্বাস্থ্য পেশাজীবী ও চিকিৎসক।

সাধারণ মানুষের ভালবাসা , শ্রদ্ধা , মমতা এগুলো অর্জন করতে হয়। অর্জন করতে হয় সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে। মানুষের দু:খ দুর্দশায় পাশে থেকে। মানুষের হৃদস্পন্দন বুঝতে হয়। ডা দীপু মনি তাই করেছে। ডা দীপু মনিরা এ সমাজের সম্পদ। ডা দীপু মনিদের সমাজ লালন করতে হয়। নতুবা সমাজে দীপু মনিদের জন্ম হবে না। বর্তমানের দুষিত রাজনীতির মধ্যেও দীপু মনিরা উঠে আসে স্বমহিমায়।

তাঁর ভালবাসা , স্নেহ আদর সবটুকুই তুলে দিয়েছেন নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের জন্য। দীপু মনির বিনয়ী আচরণ মানুষকে অভিভুত না করে পারে না। তাইতো তিনি আমাদের আপা , প্রিয় আপা। আমাদের অহংকার , আমাদের একজন Dipu Moniআছে।

রতন কুমার মজুমদার এর স্টেটাস থেকে 

সর্বাধিক পঠিত