একজন দীপু মনির গল্প
ডাঃ দীপু মনি, সাবেক সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমান চাঁদপুর ৩ আসনের সাংসদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক।
চাঁদপুরের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সংগঠন এবং আপামর জনগনের কাছে তিনি দীপু আপা নামেই পরিচিত। দীপু আপার সান্নিধ্য যারা পেয়েছে সত্যিই তারা অনেক সৌভাগ্যবান। আমিও নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি, এমন একজন মমতাময়ী, আদর্শবান, সৎ, নিরহংকারী মায়ের মতো অভিভাবক পেয়ে।
আপা দেশের বিভিন্ন জরুরী কাজে প্রায়ই দেশের বাহিরে যেতে হয়। আবার সরকারী কর্মসূচী, দলীয় বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, বিভিন্ন অঞ্চলের সম্মেলন ইত্যাদি কাজে আপা অনেকটা সময়ই ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এতো ব্যস্ততার মাঝেও চাঁদপুরে জনগনের টানে, চাঁদপুরের মানুষের ভালোবাসায় ওনার চাঁদপুরে আসা চাই। চাঁদপুরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন, সেবামূলক সংগঠন,স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা কারো দাওয়াতই তিনি উপেক্ষা করতে পারেন না। মা যেমন পরিবারের সকল সন্তানকে হাসিখুশী রাখতে চান, তেমনি চাঁদপুরের কাউকেই তিনি নিরাশ করতে চান না। একটা সুস্থ মানুষের নুন্যতম ছয় ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু এই মানুষটা, সারাদিন সরকারি কাজ, দলীয়কাজ শেষ করে রাতে যখন বাসায় যায় একটু বিশ্রামের জন্য, পরিবারকে একটু খানি সময় দেওয়ার জন্য ঠিক তখনি তাকে ভাবতে হয় চাঁদপুরের জনগনকে নিয়ে, ফজর নামাজ আদায় করে ভোর পাঁচটায় রওয়ানা হন চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে, বেশীরভাগ চলাফেরা করেন লঞ্চে, সাধারন মানুষের সুখ দুঃখের কথা শুনতে শুনতে চলে আসেন চাঁদপুরে। সারাদিন চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুড়ে বেড়ান, মানুষের সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা নিয়ে, বিভিন্ন সংগঠন, স্কুল, কলেজের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন, রাতে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করেন। এভাবেই চলে দীপু আপার সময়গুলো, যদিও আমি আপার সকল কিছু এখানে তুলে ধরতে পারবো না কিন্তু আরো কিছু তথ্য জানলে সত্যিই অবাক হবেন, যিনি সরকারের এতো গুরু দায়িত্ব ও দলের দায়িত্ব প্রাপ্ত একজন নেতা হয়ে, পরিবার, তার নির্বাচনী এলাকায় জনগন এতো কিছুতে সময় দিয়ে আবার লেখালেখিতেও সময় ব্যয় করেন, তিনি না লিখলে আমরা হয়তোবা জানতামই না দীপু আপার গর্বিত পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর এম ওয়াদুদ সাহেবের মত একজন বীর সেনানীর কথা, আসলে বঙ্গবন্ধু ওনাদের মতো কিছু সৎ, সাহসী, বিশ্বস্ত লোকদের পেয়েছেন বলেই সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন।
আর আমরা পেয়েছি ডাঃ দীপু মনি আপা ও ডাঃ জে আর ওয়াদুদ টিপু ভাইয়ের মতো যোগ্য উত্তরসূরী।
দীপু আপা শুধুমাত্র লেখালেখির মধ্যেই না উনি নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি তার ছাত্রলীগের ভাইদের সাফল্যে খুশি হোন, সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের তুলে ধরেন, যাতে অন্যরা অনুপ্রাণিত হয়, আবার মোটর বাইকে তিনজন উঠলে, হেলমেট না থাকলে তাদের সতর্ক করে কমেন্ট করেন, তিনি আদর করেন আবার শাসন করেন। তিনি দেশের বাহিরে গেলেও, নিয়মিত খোজ খবর রাখেন সকল বিষয়ে, দেশে আসার সময় নেতা কর্মীদের জন্য নিয়ে আসেন বিভিন্ন রকমের চকলেট।
নেতা কর্মীদের মৃত্যুর কথা শুনলে ছুটে আসেন তাদের পরিবারের কাছে, শান্তনা ছাড়া আর কিইবা দেওয়ার থাকে তখন, পিতা হারা সন্তান, স্বামী হারা স্ত্রী দের বুকে জড়িয়ে নেন, সেই সময় আপার অশ্রুশিক্ত নয়ন অনেক বার দেখেছি।
আমার জানা নাই কোন সংসদ সদস্যের বাসায়, তার কোন নেতা কর্মীর নামে সাধারন কোন লোক অভিযোগ নিয়ে আসতে পারে কিনা, হোক সেটা সত্য বা মিথ্যা। কিন্তু আপার কাছে অনেকেই চলে আসতে পারে, আর আপাও সেটা মনযোগ দিয়ে শুনে, তারপর দোষ গুন বিচার করে। নিজের দলের নেতা বলে কখনই অন্যায়কে সমর্থন করেনা আপা।
দীপু আপাকে দেখেছি, অসুস্থ রোগীকে দেখতে সরকারি হাসপাতালে ছুটে যেতে, হাসপাতালের পরিবেশ ও মান নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতে। দেখেছি দীপু আপার প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা স্বরূপ চাঁদপুর বাসীকে মেডিকেল কলেজ উপহার দিতে।
আপাকে নিয়ে বললে এমন অনেক গুনের কথা বলা যায়, যা বলে শেষ করা যাবেনা।
সত্যিই আমরা আপাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। আমরা একজন দীপু মনি পেয়েছি।
দীপু আপা আমাদের গর্ব
দীপু আপা চাঁদপুরের গর্ব
দীপু আপা বাংলাদেশের গর্ব।
লেখক:মোঃ জহির উদ্দিন এর ফেসবুক পেজ হতে
যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক,চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগ।