নোংরাভাবে সমালোচনা করার আগে একজন সামিয়া রহমান হয়ে দেখান
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই চিনি। প্রথমে রূপে মুগ্ধ হয়েছি তারপর গুণে, প্রথমে বড় আপা পরে শিক্ষক আমাদের প্রিয় ম্যাডাম সামিয়া রহমান। শিক্ষকতার পাশাপাশি একুশে টিভির মাধ্যমে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় যাত্রা করে উনার আজকের একটা শক্ত অবস্থান। এটা একদিনে অর্জিত হয়নি। ফেসবুক সহ সারা দেশে আজ উনার লাখ লাখ ভক্ত। আমরা হচ্ছি এমন মানুষ মানুষ কারো একটা ভুল পেলেই যতক্ষণ না টেনে নীচে নামাতে না পারি ততক্ষণ থামিনা। আজ সামিয়া রহমানের যে বিষয়টা নিয়ে কথা হচ্ছে সেটা এখনও তদন্ত চলছে। তার আগেই উনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করে এতদিনের অর্জনকে ছোট করার চেষ্টা চলছে।অনেকের অনেক ঈর্ষা থাকতে পারে, উনি যে অবস্থানে পৌছে গেছেন তাতে ঈর্ষা করতেই পারেন কিন্তু তার বহিঃপ্রকাশ এত নোংরা হতে পারে যা শুধু আমরা বাঙালিরাই মনে হয় পারি।
ম্যাডাম ব্যাক্তিগতভাবে আপনার কাছে যখনই যে কাজে গিয়েছি, যে লেখা চেয়েছি আপনার অনেক ব্যস্ততার মাঝেও আমাকে দিয়েছেন, তথাকথিত সুশীলদের মতো আপনি ইনিয়ে বিনিয়ে না করেন নি। নিশ্চয়ই এমনটা অনেকের ক্ষেত্রেই হয়েছে । আজ আপনাকে নিয়ে যখন কোন নারী বা পুরুষ ব্যাঙ্গ করে পোস্ট দেয় আর তাতে আপনার আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা, বিভিন্ন সময় আপনার সাথে ছবি তুলে ছবি তুলে ধন্য হয়ে পোস্ট করা ব্যাক্তিদেরও লাইক পড়ে তখন কষ্ট হয়।কিন্তু আপনার শুভাকাঙ্খীর সংখ্যাও কম নয়। জয় আপনারই হবে।
আর যারা নোংরাভাবে সমালোচনা করছেন তাদের বলছি, পারলে একজন সামিয়া রহমান হয়ে দেখান অন্তত ধারে কাছে, রূপে, গুণে, কর্মে এবং যোগ্যতায়।
লেখক: সম্পাদক, লুক লাইফস্টাইল.কম (ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে)