• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কালের আয়নায়: পর্ব ৫ ॥ পীর হাবিবুর রহমান

প্রকাশ:  ০৩ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৫৬
পীর হাবিবুর রহমান
প্রিন্ট

আমাদের স্কুল জীবনে সামরিক শাসন কবলিত বাংলাদেশে যে আদর্শিক গণ রাজনীতির পাশাপাশি ছাত্র রাজনীতির যৌবনকাল উছলে পরেছিল তার ঢেউ সুানমগঞ্জেও লেগেছিল। আগেই বলেছি, স্কুল জীবনেই ছাত্র রাজনীতিতে কে কোন ভাবাদর্শের সেদিকেই পথ হেঁটেছেন। পরিবারিক উত্তরাধিকার রাজনৈতিক চেতনার জায়গায় অনেককেই পথ দেখিয়েছে, কে কোন ছাত্র সংগঠনে যুক্ত হবেন। জেলা ছাত্র রাজনীতির নেতারাও স্কুল জীবনেই সৃজনশীল, তারুণ্যদীপ্ত কিশোরদের দিকে নজর দিতেন। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে উঠে আসা ছেলেমেয়েদের সবাই নিজ নিজ ছাত্র সংগঠনে টানতেন।

তখনকার দিনে সকল ছাত্র সংগঠনের নেতারাই খেয়ে না খেয়ে আদর্শের জন্য, সংগঠনের জন্য শ্রম দিতেন। ছাত্র রাজনীতিতে থেকে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ব্যবসা-বাণিজ্য এসবের কথা কেউ চিন্তা করতেন না। পড়াশুনা নিজেরাও করতেন, কর্মীদেরও তাগিদ দিতেন। সুনামগঞ্জে একসময় ছাত্র ইউনিয়নের দোর্দন্ড প্রতাপ ছিল। ষাটের দশকের মস্কো এবং পিকিংপন্থী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। পিকিংপন্থীরা রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়ন হয়ে উঠেন মওলানা ভাসানীর ন্যাপের অনুসারী। অন্যদিকে, মস্কোপন্থীরা মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন অংশটি হয়ে উঠেন ন্যাপ (মোজাফফর) ও কমিউনিস্ট পার্টির অনুসারী।

মোনায়েম খানের এনএসএফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুন্ডানির্ভর সংগঠন শক্তিশালী করলেও সারাদেশে ছিটেফোঁটা সংগঠন ছিল। এরা পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষার রাজনীতি করেছে। ৬৯ এর গণ আন্দোলনে একটি অংশ যার নেতৃত্বে তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে ডাকসুর জিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন সেই নাজিম কামরান চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্ত হয়েছিল। ষাটের দশকে ছাত্রলীগ ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে প্রতিদ্বন্ধিতা করেই ডাকসুসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে।

কিন্তু সারা দেশে মস্কোপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠন শিক্ষাঙ্গন ও শহরকেন্দ্রিক শক্তিশালী যেমন ছিল তেমনি তাদের ছিলেন জনপ্রিয় জাঁদরেল সব নেতারা। সুনামগঞ্জে মস্কোপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের সেই সময়ের দাপুটে নেতা ছিলেন মরহুম গোলাম রব্বানী থেকে হুমায়ূন কবীর চৌধুরীসহ অনেকে। অন্যদিকে পিকিংপন্থী ছাত্র ইউনিয়নের তুখোঁড় নেতা ছিলেন চৌধুরী মনসুর আহমেদ, স্বপন কুমার দেবসহ অনেকেই। সেই সময় দেওয়ান সামসুল আবেদীন, মরহুম আব্দুর রহিমরা ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করলেও সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। মরহুম সুজাত আহমেদ চৌধুরী ও একাত্তরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবু তালেব জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

রনাঙ্গন থেকে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর কাছে আটক তালেবকে সুনামগঞ্জ থানায় এনে অকথ্য নির্যাতন করা হয়েছে। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীরা পাকিস্তানি বর্বর সেনাদের সঙ্গে তালেবের ওপর অত্যাচার করেছে। উপরে পা ঝুঁলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। পানি চাইলে পানি দেয়া হয়নি। জিপের সঙ্গে বেঁধে শহরতলীর বাইরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। এদের পর স্বাধীনতা উত্তরকালে ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেন নুরুজ্জামান চৌধুরী শাহী ও শামসুল ইসলাম এখলাস, হাবিবুর রহমান চৌধুরীরা। এসময় সংগঠন দাঁড়ালে ছাত্র ইউনিয়নের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের মুখ দেখেনি।

১৯৭৫ এর পর নির্যাতনের মুখে নুরুজ্জামান চৌধুরী শাহী প্রথমে জার্মান ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেন। শামসুল ইসলাম নানা মামলায় জড়িয়ে রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। ৭৫ উত্তর ছাত্রলীগের পুর্নগঠনে আমার অগ্রজ এ্যাড. মতিউর রহমান পীর প্রথমে আহ্বায়ক পরে সেই সব কঠিন পরিস্থিতে দুই দুইবার সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে সভাপতি নির্বাচিত হন। তার সঙ্গে প্রথম দফায় হায়দার চৌধুরী লিটন সাধারণ সম্পাদক ও এবিএম ফজলুল করিম সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার চৌধুরী আনুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক করুণাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এদের বিরপীতে জাসদ ছাত্রলীগের নেতারা বয়সে, অভিজ্ঞতায়, প্রভাব-প্রতিপত্তিতে এবং সাংগঠনিক শক্তিতে অনেক শক্তিশালী ছিলেন। আবুল লেইস মামুন, কবি মরহুম মমিনুল মউজদীন, ইজাজ আহমেদ ইতু, মিফতা উদ্দিন চৌধুরী রুমি, কবি আশরাফ আহমদ, বিনোদ রায়, ইফতেখার আহমদ খসরু, জিয়ন কুমার দাস মিন্টু, শহীদুজ্জামান চৌধুরী, মরহুম আবুল কালাম, সৈয়দ শামসুল ইসলামের মতো সৃজনশীল, মেধাবি, দাপুটে নেতারা ছিলেন। জাসদের তখন রমরমা যৌবন। পেশীশক্তিতে তারা অপ্রতিরোধ্য। কলেজ ক্যাম্পাসও ছিল তাদের নিয়ন্ত্রণে। গণবাহিনীর দু’টো অস্ত্রও ছিল তাদের হাতে।

মতিউর রহমান পীরদের ছিল আদর্শ, দৃঢ়তা, নেতায় নেতায়, কর্মীতে কর্মীতে আত্নার গভীর বন্ধন। ছাত্র ইউনিয়নের পরিবারগুলোতে ঢুকে ঢুকে তারা ছাত্রলীগকে শক্তিশালী করেন। কলেজ নির্বাচনে ছাত্রলীগের বিজয় দেখে জাসদ চমকে গিয়ে হোঁচট খায়। সেদিন মতিউর রহমান পীরদের পাশে পায়ে পায়ে অগ্রজ হয়ে থাকা মারুফ চৌধুরী ফুলটাইম সময় দিয়েছেন, সাহস ও শ্রম দিয়েছেন। আরো ছিলেন আমির হোসেন রেজা, মরহুম শাহামাল মিয়া, পরবর্তীতে রাকসুর পত্রিকা সম্পাদক নির্বাচিত আমানুল্লাহ, ইমামুজ্জামান চৌধুরী মহি, রাজশাহী থেকে সুনামগঞ্জ এলে সংগঠনকে শ্রম দিতেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটিতে আসা আজিজুর রহমান সংগঠনকে মেধা ও শ্রমে অবদান রেখেছেন। আমান উল্লাহ ও আজিজুর রহমান অকালে ক্যান্সারে মৃত্যুবরণ করেছেন।

সেই সময় ছাত্রলীগ পুর্নগঠনে সাহসিকতার সঙ্গে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের সবার নাম মনে না থাকলেও কারো কারো নাম রয়েছে। এম এ হামিদ, আনোয়ার, নান্টু রায়, দেওয়ান শেরজাহান রাজা চৌধুরী, কাজী রফিক (পরবর্তীতে ছাত্র ইউনিয়নে চলে যান), এস এম আব্দুল হাই পীর, মনমথ বিজয় মানিক, সুবীর তালুকদার বাপটু অসাধারণ সাংগঠনিক ভূমিকা রেখেছেন। সুবীর তালুকদার বাপটু ছাত্রদের নাম এতটাই মুখস্ত রাখতে পারতেন যে, পরবর্তীতে কর্মীবান্ধব ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠেছিলেন। সংগঠক হিসাবে তার সুনাম ছড়িয়েছিল সর্বত্র।

১৯৮১ সালের শুরুতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ মহিলা সম্পাদিকা পদ ছাড়া সব কটি পদে বিজয়ী হয়। ভিপি নির্বাচিত হন মানিক লাল দে, জিএস নির্বাচিত হন আইয়ুব বখত জগলুল। আইয়ুব বখত জগলুল পরবর্তীতে এরশাদ জামানায় ভিপিও নির্বাচিত হন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও হয়েছিলেন। বর্তমান টানা দু’বারের মতো সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র।

সেই সময় এসএসসি পরীক্ষা শেষ হলেই ছাত্র-ছাত্রীদের সকল ছাত্র সংগঠন সংবর্ধনা দিত। কলেজে ভর্তি হওয়ার পর নবীব বরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো। ৭৫ উত্তরকালে সুনামগঞ্জে জাসদ ছাত্রলীগের নেতাদের নেতৃত্বে শক্তিশালী সাহিত্য সংগঠন গড়ে উঠেছিল। ‘আমরা কতিপয় সাহিত্যসেবী’ ব্যানারে লিটল ম্যাগাজিন থেকে সৃজনশীল প্রকাশনা, নানা অনুষ্ঠানে কবিতার জোয়ার এনেছিল শহরে। ছাত্র ইউনিয়ন থেকে পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেয়া বর্তমান মহিলা এমপি এ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার বেগম শাহানা ছাত্রলীগের নান্টু রায়ের সঙ্গে সমভোট পেয়ে টসে জিতে ভিপি হলেও সেখান থেকে তিনিই নেত্রী হয়ে উঠেছিলেন। তার স্নেহ, মমতা আমাদেরকেও টানতো। কিন্তু ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠক ছিলেন বিজন সেন রায়। জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সেই সময়ের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন আমাকে ও বাজারে সালামকে ছাত্র ইউনিয়নে নেয়ার জন্য গভীর মমতায় টানতেন। ছাত্র ইউনিয়নে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি থাকায় আমাদেরও আকর্ষণ ছিল ওই সংগঠনের প্রতি। ছাত্র ইউনিয়নকে যতই আমরা হারমোনিয়াম পার্টি বা লিপিস্টিক পার্টি বলি না কেন, বিজন সেন যখন ছাত্র ইউনিয়নের সহপাঠী ছাত্রীদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতেন, আর এসএসসি লগ্নে চা পান করাতেন; তখন ভালোই লাগতো।

ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির ঐতিহ্যবাহী পরিবার থেকে অগ্রজ গায়েত্রী রায় কলেজ ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগের জোয়ারের বিপরীতে ছাত্র ইউনিয়ন থেকে মহিলা সম্পাদিকা হয়েছিলেন। তার ছোট বোন মাহাস্বেতা দেবী শিল্পী এখন সরকারি কলেজের অধ্যাপিকা। শিল্পীদের বাসায় বিজন সেন আমাদের অনেকবার নিয়ে খাইয়েছেন। মজার মজার খাবার খাওয়ালেও আমাদের আর ছাত্র ইউনিয়ন করা হয়নি। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দেয়া ছাত্রলীগের সংবর্ধনায় তুহিন ও আমি সহপাঠী অনেককে সেখানে নিয়ে গেছি। সেই সংবর্ধনায় বক্তৃতাও করেছি। কিন্তু দু’দিন পর ছাত্র ইউনিয়নের দেয়া সংবর্ধনায় বিজন সেন রায়ের অনুরোধে যেতেই হয়নি, সবার অনুরেোধে সংবর্ধনার জবাবে বক্তৃতাও করেছি। তারপর দিন সকালেই স্বাধীনতা দিবসে পুষ্পস্তবক অর্পণ। ছাত্রনেতারা তখন রাতদিন পরিশ্রম করেন। প্রতিযোগিতামূলকভাবে কার র‌্যালী বড় হয়, সেটিতে নামতেন। বাড়ি বাড়ি মধ্য রাতে হানা দিয়ে ফুল চুরির মহোৎসব লেগে যেত। কি যে আন্তরিকা ছিল তখন, তা বলার মতো নয়।

ছাত্র ইউনিয়নের সংর্বধনা সভায় বক্তৃতা করেছি, এটি শহরে খবর হয়ে যাওয়ায় অনেকে চমকে। যেন আমি ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দিয়েছি। ছাত্র ইউনিয়ন শিবিরেও খুশির উল্লাস। শিল্পকলা একাডেমী থেকে সন্ধ্যার পর বের হয়ে বাসায় যেতে পারিনি। আমাকে পাকড়াও করেছেন হায়দার চৌধুরী লিটন, এবিএম ফজলুল করিম, সুবীর তালুকদার বাপটুসহ অনেকে। তারা ক্ষুদ্ধ। তোমার বড় ভাই ছাত্রলীগের সভাপতি, আর তুমি ছাত্র ইউনিয়নের সভায় বক্তৃতা করো। আমাদের মান সম্মান বলে কিছু থাকে নাকি সংগঠন করার শক্তি থাকে? তখন সিনিয়রদের প্রতি আমাদের সমীহ করার ধরণ এতটাই ছিল যে মাথানিচু করে চুল চুলকানো ছাড়া কিছু করার নেই।

এটাও সত্য আজকে কি জাসদ, কি ছাত্র ইউনিয়ন সবাই বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার জিগির করতে করতে মন প্রাণ দেহ আওয়ামী লীগের জন্য উৎসর্গ করে দেন। কিন্তু সেই অন্ধকার সময়ে বঙ্গবন্ধুর নাম যখন সেনাশাসকরা নিষিদ্ধ করে রেখেছে, আওয়ামী লীগের নাম যখন নিতে অনেকে ভয় পান, তখন কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের অভিষেক অনুষ্ঠানে নির্বাচিত এজিএস আনোয়ার চৌধুরী আনুল ও পরবর্তীতে ভিপি নির্বাচিত মানিক লাল দে তাদের বক্তৃতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম দিলে ছাত্রদলের সেদিন প্রতিবাদ করার শক্তি, সাহস ছিল না। সেদিন তুমুল প্রতিবাদ করে উঠেছিল জাসদ। দুবারই অভিষেক অনুষ্ঠান জাসদ পণ্ড করে দিয়ে ছাত্র ইউনিয়ন তাদের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে। এমনকি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা পণ্ড করে দিয়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে জাসদের পাশেই ছাত্র ইউনিয়ন দাঁড়িয়েছে।

তাই তাদের কাছে সেদিন ছাত্র ইউনিয়নের দেয়া সংবর্ধনায় আমার বক্তৃতা হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছিল। পরদিন সকালেই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে আমি ছাত্রলীগের র‌্যালীতে। তারপরও অনেক দিন ছাত্র ইউনিয়ন পিছু ছাড়েনি। একটি বিষয় না বললেই নয়, সুমহান মুক্তিযুদ্ধে যারা পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর দোসর আল বদরে যোগ দিয়েছিলেন, যেসব পরিবার রাজনৈতিকভাবে বা মনস্তাত্বিকভাবে পাকিস্তানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন তাদের সন্তানদেরকেই দেখা গেছে মুক্তিযুদ্ধের ভিতর দিয়ে মেধাবি, তারুণ্যের সংগঠন জাসদ ছাত্রলীগে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে। আর অনেককে সিরাজ শিকদারের অন্ধকার রাজনীতির সর্বহারা পার্টিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেদিন স্বাধীনতা বিরোধী সন্তানদের জাসদে যোগ দেয়ার অন্যতম কারণ ছিল আওয়ামী লীগ ও মুজিব বিদ্বেষী রাজনীতি।

চলবে...

সর্বাধিক পঠিত