বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ত্যাগী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তার মাস্টার
আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের হাল ধরার ত্যাগী নেতা, শিক্ষক আব্দুস ছাত্তার ভূইয়া (মাস্টার)। সৎ, যোগ্য মানুষ হিসেবে এলাকার সাধারণ ভোটাররা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকেই নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণে ইতোমধ্যে তিনিও আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এলাকায় সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। বহু অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছি। আমি আশা করি, দল আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষ ইচ্ছা পূরণ করবে। আমাকে মূল্যায়ন করবে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সহযোগিতা নিয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবো।
রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুস ছাত্তার ভূঁইয়া বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ১৯৬৬ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৬ দফা আন্দোলনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালের গণআন্দোলন, ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক নির্বাচনসহ সকল আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের ডাক দিলে ভারতে চলে যাই এবং আসাম রাজ্যের লোহারবন ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং গ্রহণ করে আগস্ট মাসে ত্রিপুরা রাজ্যের মেলাঘর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করি। দেশকে শত্রæমুক্ত করার জন্য বিজয়ের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করেছি। দেশ মুক্ত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অস্ত্রসমর্পণ করে পুনরায় লেখাপড়া করার জন্য কলেজে ফিরে যাই। এরপর আসলো ইতিহাসের সেই কলঙ্কময় দিন ১৫ আগস্ট ১৯৭৫। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে সদ্য হানাদারমুক্ত বাংলাদেশের মানুষ স্তব্ধ হয়ে যায়। আর আমি বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে অভিভাবকহীন হয়ে যাই।
আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কথা উল্লেখ করে এ চেয়ারম্যান প্রার্থী বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বিএনপির শাসনামলে অনেক অত্যাচার-অবিচার জেল-জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা হয়রানি সহ্য করেও ১৯৭৮ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত করার জন্য কাজ করি। ১৯৯৬ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকি এবং দুইবার ভোটে নির্বাচিত হয়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি।
তিনি অভিমান এবং দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে দলে অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিডদের ভিড়ে আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও থানা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে আছি।
এ বীর মুক্তিযোদ্ধা আশা প্রকাশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের মানসকন্যা, আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবং দলের নীতি নির্ধারকগণের কাছে আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষ ইচ্ছা এবং আমার ইউনিয়নের জনগণের ইচ্ছা ও চাওয়া, আমার ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আমার রাজনৈতিক এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের সেবা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এবং উন্নয়নমূলক কাজের সহযোগী হিসেবে অংশীদার হওয়া। জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে চাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে পদোন্নতি পেয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পশ্চিম বিষ্ণুদী পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বভার গ্রহণ করি এবং ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অবসরগ্রহণ করি।