ভারত-বাংলাদেশ একে অপরের সহায়ক : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকার কূটনৈতিক দক্ষতা দিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বৈরিতার বিপরীতে গড়ে তুলেছেন আস্থার সম্পর্ক।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে দুই দেশ একে অপরের সহায়ক, তারই ধারাবাহিকতায় ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প এবং অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন সেতুমন্ত্রী।
এ সময় অনলাইন প্ল্যাটফরমে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
কাদের বলেন, বিএনপি দাবি করেছে, সরকার নাকি করোনা রোগীদের পরিসংখ্যানে ৮২ হাজার রোগীর নাম বাদ দিয়েছে। আপনারা এই বাদ দেওয়া ৮২ হাজারের তালিকা দিন। চিরাচরিত মিথ্যাচার বিএনপির নিজস্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতি। অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে কারো লাভ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, হত্যা, ষড়যন্ত্র এবং সন্ত্রাসনির্ভরতা বিএনপির রাজনৈতিক ঐতিহ্য। সামনে কোনো ইস্যু পাচ্ছে না মিথ্যাচারের, তাই নিয়ে নন ইস্যুকে তারা ইস্যু বানানোর অপপ্রয়াস চালায়।
মন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির এ যুগে যখন সবকিছু উন্মুক্ত তখন ৮২ হাজার রোগীর নাম গোপন করার উদ্ভট ও মনগড়া তথ্য বিএনপির মতো দায়িত্বশীল দলের নেতারা কোথায় পান- আমরা তা জানতে চাই, জনগণ তা জানতে চায়।
তিনি বলেন, বিএনপিসহ অনেকেই বলেছিল দেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটবে, রাস্তায় রাস্তায় মানুষ মরে পড়ে থাকবে, খাবার পাবে না, চিকিৎসা পাবে না। অথচ দেশে করোনা সংক্রমণের পাঁচ মাস অতিবাহিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও মানবিক নেতৃত্বে এবং আল্লাহর রহমতে এখনো সব ঠিক আছে। বিএনপি’র গা-জ্বালা করছে। দেশের এবং জনগণের কল্যাণ তাদের অভিধান এবং চর্চায় নেই। মিথ্যাচারই এখন তাদের একমাত্র রাজনৈতিক পুঁজি।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, ’৭৫ পরবর্তী দুঃসময় ও সংকটে শেখ রেহানা পর্দার অন্তরালে থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার বাস্তব সহযোদ্ধা হিসেবে পর্দার অন্তরালে কাজ করেছেন। শেখ রেহানা কখনো প্রদীপের আলোয় আসেননি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জন্মদিনে শেখ রেহানার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।