• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে সরকার দলীয় ২২ নেতার গ্রেফতার চেয়ে মামলা!

প্রকাশ:  ১৬ জানুয়ারি ২০২০, ১২:১৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এবার এক ইউপি চেয়ারম্যান সহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২২ নেতার গ্রেফতার চেয়ে গত ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার চাঁদপুরের আমলি আদালতে মামলা করেছেন সোহাগ হোসেন নামে যুবলীগের এক কর্মী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাহেদ সরকারকে প্রধান আসামী করে মোট ২২ নেতার বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার চাঁদপুরের আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার এজাহারে গত এক বছরে সংঘর্ষের তিনটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। থানার ওসি এ মামলা না নেয়ায় তার পরামর্শেই আদালতে উক্ত মামলা দেয়া হয়েছে বলে আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মুহম্মদ শফিকুর রহমানের অনুসারী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ার সাইন ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি হেলাল উদ্দীনসহ ৪৭ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সাবেক সাংসদ ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার অনুসারী ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বাদী হয়ে মামলা দিয়েছেন গত ১১ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে।
মুহম্মদ শফিকুর রহমান এমপির অনুসারী যুবলীগ নেতা সোহাগ বাদী হয়ে ১৪ জানুয়ারি দায়েরকৃত ওই মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামীরা হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অহিদুর রহমান রানা, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহাববুল আলম সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম সুজন, ছাত্রলীগের মাহাবুবুল আলম পাটওয়ারী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউছারুল আলম কামরুল, উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দীন ইরান ভূঁইয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সহিদুল্লা তফাদারের ছেলে শরীফ তফাদার, ৫নং গুপ্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজান ভদ্র, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বড়ালী গ্রামের কাউন্সিলর জামাল উদ্দীন, সংসদ সদস্য শফিকুর রহমানের ইউনিয়ন ২নং বালিথুবা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ, সাবেক সাংসদ ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার ইউনিয়ন ১নং দক্ষিণ রূপসা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইসকান্দার আলীর ছেলে যুবলীগের নেতা রুবেল খানসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের মোট ২২ জন নেতা-কর্মী।
দলীয় সূত্র জানায়, বর্তমান সাংসদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান এবং সাবেক সাংসদ ড. মোঃ শামছুল হক ভূঁইয়ার সমর্থকদের মধ্যে গত প্রায় এক বছরে তিনটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মামলার এজাহারে ওই তিনটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ও তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রথম ঘটনা গত বছরের ২৯ জানুয়ারি, ২য় ঘটনা গত বছরের ১ মে ও সর্বশেষ তৃতীয় ঘটনা গেল ডিসেম্বরের ১ তারিখ।
এ নিয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রকিব গতকাল বুধবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, এ বিষয়ে কিছু জানা নেই। আদালতে দায়েরকৃত মামলার কোনো আদেশ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় পৌঁছেনি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।