সঞ্চয়পত্রে হাত দিলেন কেন, সংসদে অর্থমন্ত্রীকে মতিয়া চৌধুরী
পারিবারিক সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর বাড়ানোয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সমালোচনা করেছেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কিম, ওখানে আপনি হাত দিলেন কেন? এটা আমি সমর্থন করতে পারছি না।’আজ বৃস্পতিবার জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এমপি মতিয়া চৌধুরী এ কথা বলেন।মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘স্পর্শকাতর কথা বলব। এতগুলো ভালো কাজ করার পর আপনি (অর্থমন্ত্রী) এমন একটি ব্যবস্থা নিলেন, যেটা আমি অন্তত সমর্থন করতে পারছি না। ক্ষম হে মম দীনতা। গত ৫-৬ বছর বলে বলে পারিবারিক সঞ্চায়পত্র ৯ শতাংশ হয়েছে। ৯ শতাংশ রাখলেন ঠিক, কিন্তু উৎসে কর ৫ শতাংশের জায়গায় ১০ শতাংশ করলেন। এই জিনিসটা সমর্থন করতে পারি না। এই পারিবারিক সঞ্চয়পত্র তো প্রধানমন্ত্রীর স্কিম। এর ওপর নির্ভর করে গ্রামের বিধবা থেকে শুরু করে অসহায়, অস্বচ্ছল নারীরা। অর্থমন্ত্রী ওইখানে হাত দিলেন।’
বিষয়টি বুঝতে অক্ষম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন, শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছেন, সরকারি-কর্মচারীদের বেতন বাড়িয়ে দিচ্ছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কেনার সুযোগ দিচ্ছেন, অনেক সেক্টরে সুবিধা বাড়ালেন।পারিবারিক সঞ্চপত্রের মালিকরাও তো বাজারের কাস্টমার, কেন সেখানে হাত দিতে গেলেন? এটা আমি বুঝতে অক্ষম।’নানাভাবে ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিচ্ছেন। কালোটাকা সাদা করা, এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাস্তবতা হল কালো টাকা আছে, এটা কোনোরকমে খোয়াড়ে ঢুকানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে। এটা অস্বীকার করবেন না বলেও জানান তিনি।
মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, ‘সঞ্চয়পত্রের লোকরা তো তার (অর্থমন্ত্রী) কাছে হাত পাততে পারে না। তারা কার কাছে হাত পাতবে? এই সংসদে বক্তব্য দেওয়ার পর কেউ একজন আমাকে বলেছিলেন-উনার তো সাইড ইনকাম নেই। ঝাড়ু মারি সাইড ইনকামের, অসৎ পথে উপার্জনের! আমার বৈধ টাকা, সেখানে গিয়ে আপনি উৎসে কর কাটবেন, এটা ঠিক না।’তিনি বলেন, ‘২১ বছর ধরে তথাকথিত সামরিক-আধা সামরিক সরকার দেশকে উল্টোপথে ধাবিত করেছে। দিকশূন্য হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দুর্নীতিতে ছেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। অতীতের কালিমামুক্ত বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে আসার জন্য দৃঢ় মনোবল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কাজ তিনিই করেছেন’বিএনপির সমালোচনার জবাবে সাবেক কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যুতের খাম্বা-হাম্বা বাছুরের খাম্বা, বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায় নাই। খাম্বাই দেখছে, বিদ্যুৎ দেখে নাই। এই ছিল দেশের অবস্থা।’