জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক এমরান মিয়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত
মতলব উত্তর উপজেলার কৃতী সন্তান, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলহাজ¦ মোঃ এমরান হোসেন মিয়া জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য বা সভাপতি ম-লীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা পল্লীবন্ধু আলহাজ¦ হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ গত ৯ মে স্বাক্ষরিত একপত্রে ও দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক (২০/১/ক) ধারা মতে দলীয় চেয়ারম্যান এ সিদ্ধান্ত নেন, যা চলতি মে মাস থেকে কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, আলহাজ¦ এমরান হোসেন মিয়া ১৯৮৩ সাল থেকে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত হন। তিনি এটিএম রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে নতুন বাংলা যুবসংহতি গঠিত হলে এ সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সদস্য হিসেবে এ দলের রাজনীতিতে একজন নেতা হিসেবে রাজনীতি শুরু করেন। তৎকালীন নতুন বাংলা যুব সংহতির নেতা ছিলেন সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, নারায়ণগঞ্জের জনপ্রিয় নেতা মরহুম নাসিম ওসমানসহ অনেকে।
তিনি ১৯৮৭ সালে চাঁদপুর জেলার তৎকালীন বৃহত্তর মতলব উপজেলার জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর হাতে নির্যাতিত হন। একপর্যায়ে তিনি তার দলীয় কাজে তার গতিশীল বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে এগিয়ে যান। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি জাতীয় পার্টির চরমকান্তিকাল অর্থাৎ ১৯৯০ সালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক পদে ছিলেন, এরপর ১৯৯৭ সালে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রায় ৮ বছর। দলের বিগত কাউন্সিলে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদোন্নতি পান। অবশেষে ৯ মে ২০১৯খ্রিঃ তাঁর জাতীয় পার্টির সর্বোচ্চ পদ প্রেসিডিয়াম সদস্য হন।
জনাব এমরান হোসেন মিয়া চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন, বর্তমানে তিনি চাঁদপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-২ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।