কাল চাঁদপুরের সাত উপজেলা পরিষদ নির্বােনে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে চারটিতে
আগামীকাল ২৪ মার্চ রোববার চাঁদপুর জেলার সাত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই সাত উপজেলায় মোট ৬শ’ ৪৮টি কেন্দ্রে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। সাত উপজেলায় মোট ভোটার হচ্ছে ১৭ লাখ ২৬ হাজার ৩শ’ ৩৪ জন। প্রতিটি কেন্দ্রের প্রস্তুতি আজ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এবং রাতের মধ্যে ব্যালট বাক্সসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামাদি পৌঁছে যাবে। শুধু ব্যালট পেপার পৌঁছবে আগামীকাল অর্থাৎ ভোটের দিন ভোরে।
এ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অর্থবহ করতে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বিক এবং সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। কোনো মহল থেকে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বানচাল করতে না পারে সেজন্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য মাঠে এবং প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে থাকবে। পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের স্পেশাল টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে সক্রিয়ভাবে।
দেশে ৫ম বারের মতো অনুষ্ঠিত এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে আগামীকাল ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের চার শতাধিক উপজেলার সাথে চাঁদপুর জেলার সাত উপজেলায়। এ ধাপে শুধু হাইমচর উপজেলার নির্বাচন হচ্ছে না। নির্বাচন হচ্ছে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজীগঞ্জ, শাহরাস্তি, কচুয়া, মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার। এই সাত উপজেলায় মোট প্রার্থী হচ্ছে ৬২ জন। তবে চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে চার উপজেলায়। আর অন্য তিন উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই একমাত্র প্রার্থী হওয়ায় তাঁরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। উপজেলা তিনটি হচ্ছে মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ ও হাজীগঞ্জ। এই তিনটি ছাড়া অন্য চার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় প্রতিটি উপজেলায় মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী। সাথে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং দুইটিতে জাতীয় পার্টি ও এনপিপির প্রার্থী রয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
উপজেলাভিত্তিক প্রার্থী সংখ্যা হচ্ছে-চাঁদপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন। ফরিদগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন। হাজীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে গাজী মাইনুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদেও গোলাম ফারুক মুরাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে আছেন। তাই এ উপজেলায় শুধু মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। এ পদে প্রার্থী হচ্ছে ৫ জন। শাহরাস্তি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪ জন। কচুয়ায় চেয়ারম্যান পদে ৪, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। মতলব উত্তরে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এমএ কুদ্দুস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এ উপজেলায় এখন প্রার্থী রয়েছে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। মতলব দক্ষিণ উপজেলায়ও চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এইচএম গিয়াস উদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও ফেরদৌসী বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তাই এ উপজেলায় শুধু পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট হবে। আর এ পদে প্রার্থী হচ্ছে ৪ জন।